জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা
মানবসমাজে বিদ্যমান বৈষম্যের কারণে নারীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বেশি পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সাধারণত বিশ্বে নারীরা সম্পদের সমান অধিকার পায় না। এর বাইরে অনেক সমাজে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না এবং প্রায়ই তাদের কম বেতনে এমনকি বিনা বেতনে কাজ করতে হয়। এসব বিষয়ের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাব পুরুষের চেয়ে নারীদের ওপর বেশি পড়ে।
গতকাল মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ‘উইমেনস ক্লাইমেট লিডারশিপ ইভেন্ট কপ-২৬ : উইমেন অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলাস সার্জন, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া ছুলুহু হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আর্থ-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ দুর্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। নারীরা এর মধ্যে অন্যতম।’ নারী-পুরুষ সমানভাবে অংশ নিতে পারে এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে এই কপ সম্মেলন থেকে একটি সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নারীদের দুর্বলতাগুলো মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের জন্য জায়গা তৈরি করা জরুরি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ তৃণমূল থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করার এটাই উপযুক্ত সময়, যেখানে নারী ও পুরুষ উভয়েরই অন্তর্ভুক্তি থাকবে। এর জন্য অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন জলবায়ুসংক্রান্ত নীতিতে নারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যায় নারীদের চাহিদা এবং অগ্রাধিকারগুলো মোকাবেলায় নারীদের জন্য অর্থের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্য বিশ্বের নারীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
আপনার মতামত জানান