আমার অত্যন্ত প্রিয় আর একজন মানুষ চলে গেলেন : হানিফ সংকেত
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু সাইমন ড্রিং চলে গেছেন না ফেরার দেশে। গত শুক্রবার তাঁর জীবনাসান হলেও খবরটি মিডিয়া এসেছে আজ মঙ্গলবার। সাইমন ড্রিং প্রথম সাংবাদিক হিসেবে একাত্তরে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার খবর বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলেন। এরপর বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরি হতে থাকে। স্বাধীন বাংলাদেশে সাইমন ড্রিংয়ের মাধ্যমেই প্রথম বেসরকারি টেরিস্টরিয়াল টিভি চ্যানেল ‘একুশে টিভি’র যাত্রা শুরু হয়। সেই সময়ের কিছু স্মৃতিকথা শোনালেন নন্দিত উপস্থাপক-নির্মাতা হানিফ সংকেত।
সোশ্যাল সাইটে হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘আমার অত্যন্ত প্রিয় আর একজন মানুষ চলে গেলেন। সাইমন ড্রিং। আমাদের দেশের আধুনিক টিভি সাংবাদিকতার পথিকৃত। ছিলেন একাধারে একজন সাংবাদিক, তথ্যচিত্র নির্মাতা, টিভি উপস্থাপক। এদেশে বর্তমানে বিভিন্ন চ্যানেলে আমরা যে সংবাদ উপস্থাপনা দেখি এসবই মূলতঃ সাইমন ড্রিংয়ের অবদান। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ছিল অসাধারণ ভূমিকা। আর সেজন্যেই তাকে বলা হয় বাংলাদেশের বন্ধু।’
‘গত শুক্রবার রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর মৃত্যু হয়। খবরটা আজ জানলাম সংবাদ মাধ্যমে। ভীষণ কষ্ট পেলাম। বলা যায় তাঁর সঙ্গে আমার ছিলো আত্মিক সম্পর্ক। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন একুশে টিভি’র যাত্রা শুরু হয়েছিলো এই সাইমন ড্রিংয়ের হাত ধরেই। এখানে কাজ করতে এসেই সাইমনের সাথে আমার যোগাযোগ। বয়সে বড় হলেও ফজলে লোহানীর মতো তিনিও ছিলেন আমার বন্ধুর মতো। তাঁর সঙ্গে আমার রয়েছে অনেক স্মরণীয় স্মৃতি।’
‘একুশে টেলিভিশনে কাজ করার সময় বলতে গেলে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তাঁর সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো। সাইমন ছিলেন ইত্যাদির প্রায় নিয়মিত দর্শক। অনুষ্ঠান দেখে প্রায়ই ফোন করতেন। বাংলা বলতে না পারলেও বিষয়বস্তু বুঝতে পারতেন। আর তখন থেকেই একুশে টেলিভিশনের অনেক কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন আমাকে। দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি। অনুষ্ঠান সংক্রান্ত মিটিং করেছি। একুশের ভবন ছাড়াও কখনও কখনও তাঁর বাসায় আড্ডা হতো।’
সূত্রঃ যুগান্তর।
আপনার মতামত জানান