চকলেট কি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে?

প্রকাশিত

আজ বিশ্ব চকলেট দিবস। চকলেট খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। ছোট-বড় সবাই কমবেশি পছন্দ করেন এটি খেতে। অনেকে ওজন বেড়ে যাওযার ভয়ে চকলেট এড়িয়ে চলেন। কিন্তু অনেকেরই হয়তো জানা নেই চকলেটের রয়েছে অনেক উপকারিতাও। এটি হার্টকে ভালো রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নতিতে অনেক কার্যকর। আর যে চকলেটে কোকোর পরিমাণ বেশি থাকে, তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনলস পাওয়া যায় যেটি মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এর ফল হিসেবে বাড়ে চিন্তাশক্তি ও কার্যক্ষমতা।

চকলেট খেলে শরীর ও স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে- এমনটিই বলছে গবেষণা। তবে মনে রাখতে হবে, অতিমাত্রায় কোনো কিছুই ভালো না। প্রতিদিন ২৫ গ্রামের মতো বা কয়েক টুকরা চকলেট হতে পারে আপনার হার্টের জন্য উপকারী। এ ছাড়া ত্বককে নরম ও মসৃণ করতেও সাহায্য করে চকলেট।

শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো হচ্ছে ডার্ক চকলেট। এ চকলেটে কোকোর পরিমাণ থাকে কমপক্ষে ৭০ ভাগ। এটি বিপাক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, ইনসুলিন স্পাইক প্রতিরোধ করতে, স্বস্তিবোধ করতে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

চকলেট খাওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত চকলেট শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চকলেটে ক্যাফেইন থাকার কারণে এটি নেশার কারণ হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া এটি রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায়।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের চকলেট পাওয়া যায়। যেমন- বিটারসুইট চকলেট, ডার্ক চকলেট, মিল্ক চকলেট, হোয়াইট চকলেট, রুবি চকলেট, কোকোয়া পাউড়ার, চকলেট লিকুয়ের ইত্যাদি।

বিভিন্ন ধরনের চকলেটের মধ্যে ডার্ক চকলেট সবচেয়ে বেশি উপকারী। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্রম উন্নত করতেও সাহায্য করে। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে— এটি মুড ভালো করতেও অনেক কার্যকর। এ চকলেটে থাকা পলিফেনল বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা দূর করে মুড ভালো করতে সাহায্য করে। এটি খাওয়ার কারণে তা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরে সেরাটনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। আর এটি আমাদের মস্তিষ্কে ভালো অনুভূতি হওয়ার বার্তা পাঠায়।

সূত্রঃ যুগান্তর।

আপনার মতামত জানান