সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা শরিয়াহ আদালত সমর্থন করেন
ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ইসলামী আদালতকে সমর্থন করেন বলে একটি গবেষণায় জানা যায়। দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠী নিজেদের পারিবারিক বিরোধ সমাধান, উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টন, তালাক ইস্যুসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইসলামী আদালতে শরণাপন্ন হওয়াকে সমর্থন করেন জানিয়েছে পিউ রিসার্চ সেন্টার। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
গত মঙ্গলবার (২৯) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক জনমত জরিপ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার ভারতীয়দের নিয়ে একটি জরিপ প্রকাশ করে। তা থেকে জানা যায়, ভারতের এক চতুর্থাংশ তথা ৭৪ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠী বিদ্যামান মুসলিম আদালতের মাধ্যমে পারিবারিক বিবাদ যেমন বিবাহবিচ্ছেদ ও উত্তরাধিকার মামলার নিষ্পত্তিকে সমর্থন করে। পৃথক ধর্মীয় আদালতের পক্ষের মুসলিমরা মনে করেন, ধর্মীয় বৈচিত্র্য ভারতকে নানাভাবে উপকার করে।
অপরদিকে শতকরা ৫০ ভাগ মুসলিমদের জন্য পৃথক ধর্মীয় আদালতের বিরোধিতা করে। কেবল ৩০ ভাগ হিন্দু ধর্মীয় আদালতের মাধ্যমে মুসলিমদের পারিবারিক বিবাদ নিষ্পত্তিতে সমর্থন করেন। অবশ্য অনেক ভারতীয় ইসলামী শরিয়া আদালতের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এটি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
বর্তমানে ভারতে ৭০টি ইসলামী আদালত বা দারুল কাজা আছে। ১৯৩৭ সাল থেকে মুসলিমদের পারিবারিক বিবাদ নিষ্পত্তি করতে তা কাজ করছে। এর বেশির ভাগ মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে অবস্থিত।
জরিপ থেকে আরো জানা যায়, শতকরা ৮০ ভাগ মুসলিম মনে করেন, মুসলিম নারীদের তাদের ধর্মের বাইরে বিয়ে বন্ধ করা খুব জরুরি। ৭৬ ভাগ মুসলিম অমুসলিম নারীর সঙ্গে মুসলিম পুরুষের বিবাহ বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন। এদিকে ৬৭ ভাগ হিন্দু চান না যে, অ-হিন্দু পুরুষের সঙ্গে হিন্দু নারীর বিবাহ হোক। আর ৬৫ ভাগ হিন্দু চান না যে হিন্দু পুরুষ অ-হিন্দু নারীর সঙ্গে বিয়ে হোক।
পিউ রিসার্চ সেন্টারে উদ্যোগে ‘রিলিজিয়ান ইন ইন্ডিয়া : টোলারেন্স অ্যান্ড সেগ্রেগেশন’ বা ‘ভারতে ধর্ম : সহনশীলতা ও বিচ্ছিন্নতা’ শীর্ষক এই জরিপে বিভিন্ন ধর্মের ২৯ হাজার ৯৯৯ জন ভারতীয়কে সাক্ষাতকার গ্রহণ করে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৯৭৫ জন হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং তিন হাজার ৩৩৬ জন ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর বাকিরা শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৌন ধর্মের অনুসারী।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
আপনার মতামত জানান