নারায়ণগঞ্জের সেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কথিত স্ত্রীর মামলা
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন তার কথিত স্ত্রী সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি (৪০)। এ মামলায় ফেরদৌসি আক্তার রেহানা নামে আরও এক নারীকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার রাতে কাউন্সিলর খোরশেদ ও ফেরদৌসি আক্তার রেহানাকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি করেন তিনি। মামলায় অভিযোগ, ফেসবুক লাইভে এসে সায়েদা শিউলির নামে আপত্তিকর, বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনি সাজিয়ে কুৎসা রটিয়েছেন কাউন্সিলর খোরশেদ ও রেহানা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সিএনজি অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও বিজিএমইএর সদস্য। ব্যবসার কাজে প্রায় সময় তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। খোরশেদের সঙ্গে বাদীর পরিচয় ছেলেবেলা থেকে। ইতিপূর্বে বাদীর একটি বিবাহ হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। সেই ঘরে সন্তানও রয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ এবং বাদী ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করত। একপর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ২০২০ সালের ২ আগস্ট সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরস্থ এসএস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে রাতযাপনও করেন তারা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিলে খোরশেদ ফেসবুক লাইভে এসে বাদীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেন এবং নানা বাজে মন্তব্য করে কুৎসা রটায়। এর একদিন পর ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামক এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন। তাকে রাস্তার মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন এবং তার চুল কেটে ফেলা হবে বলেও ফেসবুক লাইভে বলেন।
এই দুটো বিষয়ই দুবাই থাকাকালীন তিনি তার এক বান্ধবীর কাছ থেকে জানতে পেরে পরবর্তী সময় তাদের আইডি থেকে পুরোপুরি বিষয়টি দেখেছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। সূত্রঃ যুগান্তর।
আপনার মতামত জানান