রোজায় সুস্থ থাকবেন যেভাবে

প্রকাশিত

চলছে পবিত্র রমজান মাস। মুসলমানদের জন্য এ রমজান মাস অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। তবে সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া এবং নিয়মনীতি না মানার কারণে অনেকেই রোজা রেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার ওপর এ বছর প্রচণ্ড গরম এবং কড়া রোদে রোজা শুরু হয়েছে। তাই একটু বেশিই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেয়া যাক রোজায় কীভাবে সুস্থ থাকবেন।

-গরমকালে রোজায় সবচাইতে বেশি শারীরিক সমস্যা হয় পানির অভাবে। প্রচণ্ড রোদ এবং গরমে দেহ পানিশূন্য হয়ে যায়, তাই সাহরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ইফতারি থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। আমরা অনেকেই ইফতারিতে ফল খাই। তবে দেহকে পানিশূন্যতার হাত থেকে বাঁচাতে শুধুমাত্র ইফতারিতে নয়, বিভিন্ন ধরনের রসালো ফল রাখুন সেহরির তালিকাতেও। এতে পুরো দিন সুস্থ থাকতে পারবেন।

-দেহ পানিশূন্য হয়ে গেলে এনার্জি কমে যায়, তাই এমন খাবার খেতে হবে; যা দেহে এনার্জি ধরে রাখতে পারবে। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ খান পরিমাণমতো। এতে ক্ষুধা কম লাগবে এবং এনার্জি থাকবে অনেক। মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মিষ্টি খাবার দিনের বেলায় আপনার দেহের এনার্জি লেভেল একেবারেই নষ্ট করে দেবে।

-খেজুর দেহের এনার্জি ধরে রাখার জন্য জাদুকরি একটি খাবার। খেজুর যে শুধু ইফতারিতেই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সাহরির সময়ও দুটো খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। এতে পুরো দিন দেহে এনার্জি পারেন। সাহরিতে কলাও খাওয়া যেতে পার। কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট। তবে কলা খেলে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। সেক্ষেত্রে আঁশজাতীয় খাবারের সঙ্গে খেলে আর কোনো সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

-রোজায় ভাজাপোড়া, ঝাল ও অতিরিক্ত মসলাজাতীয় খাবার পরিহার করুন। এসব খাবার বুকে জ্বালাপোড়া, বদহজম ও গ্যাসের সৃষ্টি করে।

-সাহরিতে ভারি খাবার এবং অতিরিক্ত তেল চর্বিজাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে পোলাও, বিরিয়ানি ধরনের খাবার তো একেবারেই নয়। এসব খাবার পুরো দিনই আপনার পেটের সমস্যা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করবে।

-অনেকেই সকালের চা-কফি রোজায় সেহরিতে পান করেন। কিন্তু এটি করা উচিত নয়। চা-কফিতে ক্যাফেইন থাকে, যা দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে। তাই সাহরিতে চা-কফি পান না করে ইফতারির পর পান করুন।

-দিনের সবচেয়ে গরম সময়টিতে শীতল স্থানে থাকার চেষ্টা করুন। শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা যথাসম্ভব কমিয়ে আনুন। পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও লক্ষ্য রাখুন। ধূমপানের বদ-অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন।

-রোজায় যাদের অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, পেপটিক আলসার ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনবিধি পুন:নির্ধারণ করে নিন। রোজা রেখে আকস্মিক কোনো অসুস্থতা যেমন- অতিমাত্রায দুর্বলতা, মাথা ঘোরা সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্লাডপ্রেসার পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্রঃ যুগান্তর।

আপনার মতামত জানান