আমি প্রত্যেক মেয়র প্রার্থীকে দাওয়াত দিয়েছি, তার আসেননি-কায়সার
ডেইলি সোনারগাঁ :
বাংলাদেশ যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত বলেন, আমি পৌরসভার প্রত্যেকটি মেয়র প্রার্থীকে দাওয়াত দিয়েছি। তারা কেউ আসেননি সেজন্য আমি তাদের দোষ দেইনা। কিন্তু জাতীয় পার্টির পেতাত্মরা তাদের ভুল পথে পরিচালনা করেছেন। আজ মিটিংয়ে যাতে নেতাকর্মীরা না আসেন সে জন্য জাতীয় পার্টির এমপি ও জাতীয়পার্টির সংসদ সদ্যেসের প্রেতাত্মারা চৌরাস্তায় বসে ফোন করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছেন।
সোনারগাঁ পৌরসভা মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আমি আজ একটি শ্লোগান নিয়ে পৌরসভায় এসেছি। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতিক দিয়ে যাকে আমাদের কাছে পাঠাবেন, সেই ই হবে আমাদের প্রার্থী । আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মাঠে কাজ করে যে কোন মুল্যে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতির বীজ বপন করে নতুন করে আওয়ামীলীগের ফাউন্ডেশন তৈরী করবো।
সরেজমিন দেখা যায়, আসন্ন সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে চারজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র গাজী মুজিবুর রহমান কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। সাবেক সাংসদ ও সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ কায়সার হাসনাতের ডাকে অন্যান্য প্রার্থীরা সাড়া দেননি।
এ ব্যাপারে কায়সার হাসনাত বলেন, তারা কেউ আসেননি সেজন্য আমি তাদের দোষ দেইনা। কিন্তু জাতীয় পার্টির পেতাত্মরা তাদের ভুল পথে পরিচালনা করেছেন। এসময় তিনি আহবায়ক কমিটিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ঐক্যের ডাকের এই মধ্যেই আমরা নির্বাচন করতে চাই। সেই ডাকের মধ্যে দিয়ে বর্তমান আহবায়ক কমিটি যে অনৈকের ডাক দিয়েছেন সেটা পৌরবাসী জানেন। আগামী নির্বাচনে যখন আপনারা পৌরবাসীর সামনে আসবেন তখন সেই জবাব আপনাদের দিতে হবে। আপনারা যদি পৌরসভার নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী হওয়ার জন্য কাজ করতেন তাহলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আটকানোর পায়তারা করতেন না। এটা স্পস্ট ভাবে প্রমান হয় আপনারা দলের চেয়ে স্বার্থ বেশী ভালবাসেন । আপনারা নির্যাতন নিপীড়িত নেতাকর্মীদের পাশে না থেকে অর্থের পেছনে ঘুরেন। আপনাদের নাকি আহবায়ক কমিটি দিয়েছে সে আহবায়ক কমিটির ভারই আপনারা বহন করতে পারেন না। আপনারা ভয়ে মিটিংয়ে যাতে নেতাকর্মীরা না আসতে পারে সেজন্য বাধাগ্রস্ত করার পায়তারা করেন। আর যদি সম্মেলন হয় সে সময়কার ভারই আপনারা কিভাবে বহন করবেন। জাতীয়পার্টির প্রেতাত্মা হয়ে আওয়ামীলীগের নেতা হয়ে অন্য আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করবেন সেটা হতে দেয়া যাবে না। আগামী পৗরসভা নির্বাচনে জয় লাভ করে আপনাদের জবাব পৌরবাসী দিবে।
পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলামের সঞ্চালনায়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সভাপতিত্বে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগে নেতা ইকবাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রবিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর আক্তার রুমা, সাধারণ সম্পাদক বাবু, কাউন্সিলর আলী আকবর, সাবেক কাউন্সিলর লায়ন মোশারফ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রজম্মলীগের সভাপতি আরমান মেরাজ, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শাহীন আলম স্বাধীন, ফয়জুল্লাহ রিপন, বাচ্চু সরকার, পৌর যুবলীগের রেজওয়ানুল হক টিটু, গাজী জুয়েল, আবুল হোসেন, যুবলীগ নেতা সালাম, অপু , ছাত্রলীগ নেতা রাসেদ আহমেদ, সুজন, জামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট শাহাজাদা সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত জানান