সেলিমপুত্র ইরফানের বাসায় নিষিদ্ধ সামগ্রী
নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের পর ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করেছে র্যাব।
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় অভিযান শুরু হওয়ার পর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। এতে এরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করে র্যাব।
এর মধ্যে ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে ওয়্যারলেস সিস্টেম সরঞ্জাম ও ৩৮টি কালো ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। যা সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়া ব্যবহারের অনুমতি নেই। এছাড়া সেখান থেকে লোডেট একটি বিদেশি পিস্তল (আমেরিকান), একটি চাইনিজ কুড়াল, ৭ বোতল বিদেশি মদ ও বেশ কিছু বিয়ার জব্দ করে।
উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে আছে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র অবৈধ বলে ধারণা করছে র্যাব। সেটির কাগজপত্র এখনও দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া বিপুল সংখ্যক মদের বোতল রয়েছে বাড়িটিতে। পাওয়া গেছে বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।
ওই বাড়িতেই এরফানসহ আরও দুইজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এক কর্মকর্তারা।
এর আগে সোমবার ভোরে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলবো’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
আপনার মতামত জানান