১০ মিনিটের পথ যেতে হচ্ছে ৩ ঘন্টায়
ঈদুল আজহার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন যাত্রীরা। কাঁচপুর ব্রিজ থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত পার হতে সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। মহাসড়কে গাড়ি চলতেই পারছে না।
সরেজমিনে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই সাইনবোর্ড, শিমড়াইল মোড়, কাঁচপুর, মদনপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। গরমে, ঘামে বিরক্ত হয়ে গাড়িতে বসে আছেন দূরপথে যাওয়া যাত্রীরা।
কুমিল্লার যাত্রী হিমেল মিয়া জানান, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গাড়ি ছেড়েছে সকাল দশটায়। দীর্ঘ জ্যাম ঠেলে গাড়িটি সিদ্ধিরগঞ্জের শিমড়াইল মোড়ে এসেছে বারোটায়। এখানে এসেও বসে আছে প্রায় আধ ঘণ্টা। বাড়ি পৌঁছাতে কত ঘণ্টা লাগবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।
ঢাকাগামী যাত্রী সিনথিয়া আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহাসড়কের ওপর পরিবহনগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে যেভাবে যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছে এতে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই যেন ঈদের পূর্বে এ সকল পরিবহন মহাসড়কের ওপর গাড়ি দাঁড় করাতে না পারে সেই জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নবীর হোসেন জনান, প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানী ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। মহাসড়ক দিয়ে সুন্দরভাবে বাড়ি যেতে সকল কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ। তবে ঈদ উপলক্ষে গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে। ফিটনেসবিহীন ও অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে প্রতিদিন আমরা মামলা, রেকারিংসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি। ঈদে যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে তার সব পদক্ষেপ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
আপনার মতামত জানান