হেফাজতের সাথে প্যান্ট-শার্ট পরা যুবকরা কারা?
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সময়ে হওয়া হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের হাতে সাধারণত লাঠিসোটা দেখা যায়। পাঞ্জাবি ও টুপি পরা লোকজনই সাধারণত ওইসব আন্দোলনে অংশ নেন। তবে রবিবার (২৮ মার্চ) হওয়া হরতালের সময় দা, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। জিন্স প্যান্ট ও টি-শার্ট পরা যুবকরাও এতে অংশ নেন।
এসব বিষয়সহ সার্বিক পরিস্থিতিতে ধারণা পাওয়া যায়, হেফাজতে ইসলামের পাশাপাশি একটি ‘বিশেষ চক্রও’ ফায়দা নিতে হরতালের সময় যোগ দেয়। যে কারণে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পড়ে।
প্রশাসনের অনেকটা ‘আত্মরক্ষা’ মনোভাব পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তোলে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন, সরাইলে হাইওয়ে থানা ও আশুগঞ্জে টোল প্লাজায় হামলার সময় প্যান্ট-শার্ট পরা শত শত যুবককে দেখা গেছে। হামলাকারী অনেকের মাথায় হেলমেটও পরা ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুড়ে এখন পোড়া গন্ধ। রবিবার হামলার পাশাপাশি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্দির, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি। তিনদিনের সংষর্ষে মৃত্যু হয়েছে মোট নয়জনের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন, আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে ও খাঁটিহাতা বিশ্বরোড হাইওয়ে থানায় আক্রমণ করে হরতাল-সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টোল আদায়ের বুথ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গেসংঘর্ষের পর দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাইনে হামলার সময় শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে কোনোরকম বাধা দেয়া হবে না উল্লেখ করে আন্দোলনকারীদের নিবৃত করার চেষ্টা করা হয়। তবুও হামলাকারীরা থামেনি।
শনিবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সব ধরণের ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়। যে কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন চরমে। সড়ক পথেও নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বেশি ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ আছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার গত তিনদিনের তান্ডবের নিন্দা জানিয়েছেন। এ ঘটনা ৭১ এর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আপনার মতামত জানান