হামলায় আহত সাংবাদিক’কে সহায়তায় বিএসসির রেসপন্স টিম নওগাঁয়
ডেস্ক রিপোর্ট
নওগাঁয় সংবাদ সংক্রান্ত জের ধরে পর পর দু’দফায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি) এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ও মাল্টিমিডিয়া নিউজ বার্তা ২৪.কমের নওগাঁ প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামের খোঁজখবর ও সহায়তা দিতে নওগাঁয় গিয়েছে কেন্দ্রীয় রেসপন্স টিমের সদস্যরা৷
আজ রবিবার ২৭ অক্টোবর টিমের সদস্যরা নওগাঁয় পৌঁছেছেন৷ এর আগো নবগঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি) এর আহ্বায়ক এম রায়হান ও সদস্য সচিব আলপনা বেগম তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় শুরু থেকেই কাজ করছে কুইক রেসপন্স টিম। এ টিমের লিডার করা হয়েছে যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ আরেফিনকে।
টিমের সদস্যরা জানান, নওগাঁর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক সমাজের পরামর্শ, সহায়তায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যেই তারা কাজ শুরু করবেন। সার্বিক খুটিনাটি বিষয়টি তারা তদারকি করবেন বলেও জানান।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটির প্রধান উপদেষ্টা দৈনিক দেশবাংলা সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে রেসপন্স টিমে রয়েছেন,যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ আরেফিন, আফজাল হোসেন (এনটিভি), যুগ্ম আহ্বায়ক হায়দার হোসাইন (বিএসএস), যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আকরাম (নয়াদিগন্ত), সদস্য সাখাওয়াত জামিল দোলন (বাংলাভিশন), আলমগীর হোসেন (চ্যানেল এস), আবুল বাশার পলাশ (এশিয়ান টিভি)।
উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর দুপুরে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামে এক নব মুসলিম পরিবারকে অবরুদ্ধ রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে গেলে প্রথম দফায় হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি।পরে হামলাকারীদের অপকর্ম তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এর জেরেই দ্বিতীয় দফায় তার ওপর আবারো সংঘবদ্ধ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রথম হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম । ওই মামলার ৩ নম্বর আসামি সন্ত্রাসী নাহিদ হোসেন।
দ্বিতীয় দফা হামলা হয় মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার চাকলা বাজার এলাকায়। সন্ত্রাসী নাহিদ হোসেন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে প্রকাশ্য ১৫-২০ জন এ হামলা চালায় । নাহিদ নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের গোলামের ছেলে ও তার সহযোগি পলাশ এবং তার বাবা উকিল মিয়া হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওইদিন অচেতন অবস্থায় শহিদুলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৬ অক্টোবর প্রথম দফা হামলার শিকার হয়ে নাহিদ সহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিয়েছিলাম। এরপরই হামলাকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো আত্মগোপনে থাকা নাহিদ বাহিনীর সদস্যরা। নাহিদ মূলত অন-লাইনে জুয়ার এজেন্ট দেয় ও অবৈধভাবে ডলার লেনদেন করে যুবসমাজকে ধ্বংস করছে প্রতিনিয়ত। নাহিদ সহ তার অন্যান্য বাহিনীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
আপনার মতামত জানান