হাজী মতিউর রহমান সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত

সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাজী মতিউর রহমান সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাকসুদুর রহমান সরকার, সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান সরকারের বিরুদ্ধে স্কুলের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর স্বাক্ষর জাল করে তার ভাই ও ভাবিকে এমপিওভূক্তির আবেদন অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় দূর্নীতি দমন কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নারায়ণগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও সোনারগাঁ থানায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাজী মতিউর রহমান সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষকের ভাই ও ভাবিকে এমপিওভূক্তির অনলাইনে আবেদন স্থগিত করার আবেদন করেন।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সরকারের এক আদেশে হাজী মতিউর রহমান সরকার উচ্চ বিদ্যালয় মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভূক্ত করা হয়। ২০০৪ সালে এ স্কুলের তৎকালীন সভাপতি হাজী মতিউর রহমান সরকার তার নিজের ছেলে মাহমুদুর রহমান ও মেয়ে নুসরাত জাহানকে জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে প্যাটার্ণ বহিভূতভাবে নিয়োগ দেন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তারা স্কুলের পাঠদান থেকে বিরত থাকে। এছাড়াও পরবর্তীতে মাহমুদুর রহমানের স্ত্রী সানজিয়া ইয়াসমিনকে তার শশুর নিয়োগ প্রদান করেন।

এ তিন শিক্ষক স্কুলের দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে তাদেরকে ২০১৯ সালের ১১ মে বর্তমান পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগসহ নানা ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমানসহ তিনজনকে বহিষ্কার করে।

এদিকে প্রধান শিক্ষক বহিষ্কার হওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটি বহিষ্কারাদেশ অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠায়। রহস্যজনক কারনে এখন পর্যন্ত ওই বহিষ্কারের চিঠির কোন অনুমোদন পত্র পায়নি ম্যানেজিং কমিটি। ফলে প্রধান শিক্ষক এখনও তার স্ব-পদে বহাল রয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমান এ সুযোগে ২০০৪ সালে জুনিয়র শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত তার বড় ভাই মাহমুদুর রহমান ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হালিমাকে ওই স্কুলের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর স্বাক্ষর জাল করে গত ৮ মে অনলাইনে আবেদন করেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে সভাপতি মোহাম্মদ আলী নারায়ণগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করে এমপিওর আবেদন দুটি স্থগিত করেন।

হাজী মতিউর রহমান সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহি®ৃ‹ত প্রধান শিক্ষক তার ভাই ও ভাবিকে অবৈধ পন্থায় আমার স্বাক্ষর জাল করে এমপিওভূক্ত করার পায়তারা করছেন। এ বিষয়ে আমি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।

হাজী মতিউর রহমান সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমি কাগজপত্র প্রস্তুত করে অফিস সহকারীকে স্বাক্ষরের জন্য পাঠিয়েছি। স্বাক্ষর পেয়ে বিধি মোতাবেক তাদের এমপিওর জন্য আবেদন করেছি। সভাপতির স্বাক্ষর আমি জাল করিনি।

আপনার মতামত জানান