স্ত্রীকে ম্যাসেজ দিয়ে র‍্যাব সদস্যের আত্মহত্যা

প্রকাশিত

ত্রীর সাথে অভিমান করে রংপুর র‌্যাব ১৩ এ গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত জাকির হোসেন নামে এক র‌্যাব সদস্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশীদ আত্মহত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, রংপুর র‌্যাব ১৩ গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত র‌্যাব সদস্য জাকির হোসেন রংপুর নগরীর কলেজ রোড হাবিবনগর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। শুক্রবার সন্ধার দিকে র‌্যাব সদস্য জাকির হোসেনের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়।

এ ঘটনায় তার মামা শশুড় বাসায় এসে জাকির হোসেনের স্ত্রীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যায়। স্ত্রী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর সে হতহিবল হয়ে পড়ে। রাতে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে ‘আজ থেকে আর কোন কথা হবেনা’ বলে ম্যাসেজ দেয়। এছাড়াও ডায়রীতে কিছু কথা বলে সম্ভবত রাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

বাসার মালিক হাফিজুর রহমান জানান, ৬ মাস আগে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সকাল পর্যন্ত বাসায় কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এবং ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশীদ পুলিশ ফোর্সসহ বাসায় এসে দরজা ভেঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় র‌্যাব সদস্য জাকির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।

মৃত জাকির হোসেনের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার মুলগ্রামে তার বাবার নাম রফিকুল আলম মায়ের নাম জোহরা বেগম বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জাকির হোসেনের বাবার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবার পর তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে মৃত র‌্যাব সদস্য জাকির হোসেনের স্ত্রীর নাম ও ঠিকানা পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেনি। তবে তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন যার মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে সর্বশেষ ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে তা উদ্ধার এবং তার লেখা ডায়রীসহ আরও কিছু মালামাল আলামত হিসেবে নেয়া হয়েছে বলে ওসি জানান।

এ ব্যাপারে র‌্যাব ১৩ রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া ছিদ্দিক আহাম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।

আপনার মতামত জানান