সোনারগাঁ যাদুঘরে ঘাসকাটা মেশিনের ধুলাবালিতে নাজেহাল পর্যটক
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ৩ দিনের ছুটিতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে (যাদুঘর) নানা শ্রেণির পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক পার হয়েই ধুলাবালি ও শব্দ দুষনে নাজেহাল অবস্থা। ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ শতশত পর্যটকদের আগমন উপেক্ষা করে ইঞ্জিনচালিত ঘাসকাটা যন্ত্র ব্যবহার করে মাঠ পরিস্কার করছেন। এতে তীব্র শব্দদুষণ ও ধুলাবালিতে মারাত্মক পরিবেশ দুষণে ভোগান্তিতে পড়েছে পর্যটকরা। তবে এ সময় অধিকাংশ পর্যটকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই পর্যটকদের ভিড়। মাস্ক পড়ার বাধ্যবাদকতা না থাকায় তা উপেক্ষা করে শতশত দর্শনার্থী লাইনে দাঁড়িয়ে প্রবেশ করছে। ফাউন্ডেশন চত্বরে ঘাসকাটা মেশিন থেকে বেরিয়ে আসা ঘাস ও দুলাবালিতে অস্বস্তিতে পড়েছে আগত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা । বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশন বন্ধ থাকলেও সেদিন ঘাস না কেটে খোলার দিনে পরিবেশ দুষণ হয় এমন কাজ কেন করছেন এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি যাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
নরসিংদীর সাহেপ্রতাপ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, যাদুঘর কর্তৃপক্ষের কি কোন কমনসেন্স নেই তারা নিজেরা পরিবশ দুষণ করছে। ধুলাবালিতে আমার সন্তান ও বৃদ্ধ মা-বাবার হাচিকাশি থামছে না। তাছাড়া পুরো ফাউন্ডেশন এলাকা ময়লা আর্বজনায় ছেয়ে আছে। আজ এসে দেখলাম অনেক বিদেশি পর্যটকও এসেছে। এ পরিবেশ দুষণ দেখে বাংলাদেশ ও ফাউন্ডেশন সর্ম্পকে নিশ্চয় নেতিবাচক ধারনা ধারনা নিয়ে যাবেন। যা দেশের ও ফাউন্ডেশনের জন্য কখনো কল্যাণকর হবে না।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সজিব রায়হান বলেন, শীতকালে নানা রোগব্যাধি বাসা বাধে শরীরে। আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। এ সময় বাতাসে অনেক ধুলাবালির কারণে হাঁপানিসহ জটিল রোগও বেড়ে যায়। তাই এ সময় মাস্ক ব্যবহার ও ধুলাবালি এড়িয়ে চলা একান্ত জরুরি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি জানার পর কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে যেন ফাউন্ডেশন বন্ধের দিন এসব কাজ করা হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত জানান