সোনারগাঁয় কয়েকটি গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত

’আমার স্কুল, আমার সম্পদ। অমার রাস্তা আমার আস্থা’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প কর্তৃক জনগণের রাস্তা বন্ধ করে ভুমি অধিগ্রহনের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার পানাম-খাগুটিয়া গ্রাম সহ দশটি গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধের পরিকল্পনার প্রতিবাদে আজ সকালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া সাবেক কাউন্সিলর হাজী আমির হোসেন, মোতালেব মিয়া স্বপন, মোহাম্মদ আলী, জাহেদা আক্তার মনি কমিশনার ও আবজাল হোসেন বলেন, এক সময় খাগুটিয়া,বাগমুছা, কৃষ্ণনগর, লাহাপাড়া, বাগমুছা সহ কয়েকটি গ্রাম এবং কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিক পানাম নগরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করত। এ এলাকার সাধারণত জনগণের চলাচলে নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিকল্প হিসেবে লেকসিটির রাস্তাটি জনসাধারণের জন্য নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার গ্রামবাসীসহ দুইটি কিন্ডারগার্টেন, দুইটি মাদরাসার ছাত্র এবং ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন এর শত শত ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন চলাচল করে। ইতোমধ্যে সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং পানামনগর একীভূত করার উদ্দেশ্যে সীমানাপ্রাচীর দিযে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাস্তা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এলাকার কয়েক হাজার আপামর জনসাধারণ কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের প্রধান ফটকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন। তারা আরো বলেন, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোন উন্নয়ণ সুফল বয়ে আনবে না।

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এসএম রেজাউল করিম কালের কন্ঠকে বলেন, পানামনগরী ও যাদুঘরের মাঝখানের লেকসিটির রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধিভুক্ত পানামনগরী ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনকে একভুত করার বিষয়টি এখনো প্রস্তাব পর্যায়ে আছে। পরবর্তীতে সমন্বয় সভা হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরব। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেয় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

আপনার মতামত জানান