সোনারগাঁয়ে শীতবস্ত্র কিনতে ক্রেতাদের উপচে ভিড়

প্রকাশিত

কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ায় কর্মজীবী মানুষের দৈনন্দিন কাজের গতি কমলেও দুই দিনের ব্যবধানে মোটা কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ। সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকার শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ শীতে নারায়ণগঞ্জে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।

সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেখা গেছে, বিক্রেতারা রঙ-বেরঙের স্লোগান দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। এসব দোকানে নিম্নআয়ের মানুষদেরই বেশি দেখা গেছে।ফুটপাতের দোকানগুলোয় দেখা গেছে, ১০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব দোকানে শিশুদের শীতবস্ত্র বেশি বিক্রি হচ্ছে। শিশুদের গায়ের উল-জাতীয় বস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। একই সঙ্গে ৫০০ টাকা দামেরও শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে।

সরেজমিনে শীতের কাপড়ের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এখানে ১২০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কম্বল বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানে মোটা কাপড়ের পোশাকই পছন্দ শীতার্তদের।

আইয়ুব প্লাজার ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান, ‘এক সপ্তাহে, গরম কাপড়ের মূল্য বেড়েছে দ্বিগুণ। যেহারে শীত পড়ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই দোকানের সব শীতবস্ত্র শেষ হয়ে যাবে।’

মেঘনা নিউটাউন ফুটপাত মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানেই কর্মজীবি ক্রেতাদের ভিড়। এলাকাটি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক হাড়কাঁপানো শীতে সকাল হতে রাত পযন্ত নিয়মিত কাজ করেন। হালকা কাপড়ের চেয়ে মোটা কাপড়ের দিকেই ঝুঁকছেন তারা। বেচাবিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও।

শনিবার রাতে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন ফুটপাতের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। প্রতিটি দোকানেই বিক্রেতার ভিড় রয়েছে। বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেতার ভিড়ে কথাই বলতে রাজি হননি এক দোকানি।

আপনার মতামত জানান