সোনারগাঁয়ে বালু উত্তোলনের মূলহোতারা অধরা, ১৩ শ্রমিকের কারাদন্ড

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িত মুলহোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বালুউত্তোলনের দায়ে ১৩ শ্রমিককে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কোন ড্রেজার, বাল্কহেড জব্দ করা হয়নি।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার ও বাল্কহেডে দিনমজুরি করা ১৩ শ্রমিককে আটক করে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন এর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দন্ডাদেশ দেওয়া হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত ড্রেজার ও বাল্কহেড শ্রমিকরা হলো রাকিব মিয়া ১৮, রাকিবুল ইসলাম (২৫) আনোয়ার হোসেন (৪০) নুর মোহাম্মদ (২৭) সালাউদ্দিন (১৮) সুলতান মোল্লা (১৮) কুবায়েত হোসেন (৩২) রুবেল মিয়া (২১) মনিরুল ইসলাম (৩২) সাইফুল ইসলাম (২৯) জসিমউদ্দিন (৪৫) ফিরোজ মিয়া (৩৫) ইফসুফ মোল্লা (২০)।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে ভাঙ্গন কবলিত ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, মেঘনা নদীতে যতবার অবৈধ বালু উত্তোলেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে রহস্যজনক কারনে প্রতিবারই মুল হোতার ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এমনকি ড্রেজার, বাল্কহেড আটক না করায় অভিযান চালানোর পরপরই আবার পুরোদমে বালু উত্তোলন শুরু হয়। জেলজড়িমানার শিকার হয়ে শ্রমিক ও তাদের পরিবার অভুক্তভাবে দিন কাটায়। তারা জানান বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হলে ড্রেজার, বাল্কহেড জব্দ অথবা বিকল এবং মুল হোতাদের আইনের আওতায় না আনলে এ বালুকাটা কোনদিন বন্ধ হবে না।

সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন বলেন, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ১৩ শ্রমিককে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের প্রত্যেককে ৭ দিন করে কারাদন্ড  দেওয়া হয়েছে। এ সময় কোন ড্রেজার, বাল্কহেড জব্দ করা হয়নি বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

আপনার মতামত জানান