সোনারগাঁয়ে পোশাক শ্রমিককে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেফতার- ৫

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই সন্তানের জননী (২৪)এক নারী পোশাক শ্রমিককে তুলে নিয়ে ‘গণধর্ষণের’ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে আজ দুপুরে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।

আটককৃতরা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার ব্রাহ্মনবাওগাঁ গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু সাইদ (২৫), রেহাজ উদ্দিনের ছেলে ইমরান (২৩), নবী হোসেনের ছেলে রনি মিয়া (২০), আবু সিদ্দিকের ছেলে আবুল হোসেন (৩২), বাগবাড়ি গ্রামের ভুট্টু মিয়ার ছেলে মাসুম (২২) কে গ্রেফতার করেছে তালতলা বাজার তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। আরিফ ও জাহাঙ্গীর নামের দুই ধর্ষক পলাতক রয়েছে।

ধর্ষিতা ও মামালার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত রবিন ট্রেক্স গার্মেন্টর্সে ফোন্ডিং ম্যান হিসেবে কাজ করেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় গার্মেন্টস ছুটি হলে বাড়ি (গাউছিয়া) যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিতে উঠেন। সিএনজিটি গাউছিয়া পৌছলে সে গাড়ি থেকে নামতে চাইলে ধর্ষক জাহাঙ্গীর বাধা দিয়ে সিএজির ড্রাইভারকে সোনারগাঁয়ের তালতলার দিকে আসতে বলে। এসময় ধর্ষক জাহাঙ্গীর (ধর্ষিতার) মুখে স্কচটেপ দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মনবাওগাঁ গ্রামের জনৈক আব্দুল হালিম মিয়ার দোচালা টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ৭ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ধর্ষিতা বলেন, প্রথম আবু সাইদ ও পর্যায়ক্রমে ইমরান, রনি মিয়া, আবুল হোসেন, আরিফ, মাসুম ও জাহাঙ্গীর পালাক্রমে একাধীকরার ধর্ষণ করে। পরে রাত ৩ টার দিকে বাড়ির মালিক হালিম বাহির থেকে ঘরে এসে ঘটনাটি দেখে বাধা দিলে ধর্ষকরা জোর করে আমাকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে।
এসময় আশেপাশের লোক জন তালতলা ফাড়ি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তালতলা বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহসান উল্লাহ জানান, পোশাক শ্রমিককে পালাক্রমে ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে তৎক্ষনাত গ্রেফতার করি। বাকী দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

আপনার মতামত জানান