সোনারগাঁয়ে ত্যাগী নেতাদের সমর্থকরা আশার আলো দেখছেন

প্রকাশিত

মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটিতে জায়গায় করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রংপুর বিভাগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। ত্যাগী নেতাকর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে কমিটিতে জায়গায় করে দিবেন। এটা আমার কথা না এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দলীয় সভানেত্রীর কথা। নেত্রীর নির্দেশেই আমরা এই প্রতিনিধি সভায় এসেছি।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এর এ ঘোষনার পরপর নড়েচড়ে বসে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের কারা নিযাতিত ত্যাগী নেতা গাজী মুজিবুর রহমানের কর্মী সমর্থকরা।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, গাজী মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র সোনারগাঁ নয় বাংলাদেশে তৃণমূল আওয়ামী লীগের পরিচ্ছন্ন রাজনীতির মাইলফলক। তিনি রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের সব সহায় সম্পদ বিক্রি করে মানুষের পাশে দাঁড়িছেন।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে একজন নেতা জানান, যারা সোনারগাঁয়ে লোটাবাটি হাতে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন, রাজনীতি ছাড়া যাদের অন্যকোন পেশা কিংবা ব্যবসা নেই তারা আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। দেশে বিদেশে একাধিক বাড়ি, চলেন দামী এসি গাড়ি হাকিয়ে। অথচ ত্যাগী নেতারা সব কিছু থেকে বঞ্চিত। তিনি আরো বলেন যুবলীগ সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক শাহ আলম রূপন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জি. মাসুমের ১২ বছরের যুবলীগকে সোনারগাঁ তথা বাংলাদেশের যুবলীগের পরিচ্ছন্নতার স্বর্ণযুগ বললে ভুল হবে না।

গাজী মুজিবুর রহমানের বাবা বঙ্গবন্ধুর আর্দশে উজ্জীবিত গাজী আক্রাম হাজী ১৯৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন থেকে অধ্যাবধি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বর্তমানে পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী আক্রাম আলীর দ্বিতীয় ছেলে গাজী মুজিবুর রহমান। জাতীর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ছেলের নাম রাখেন গাজী মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর আর্দশে নিবেদিত গাজী মুজিবুর রহমান ছাত্র রাজনীতিতেই সকলের নজর কারেন। অসহায়, নিপিড়িত, নির্যাতিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে নিঃস্বার্থ রাজনীতিবিদ হিসেবে পৌরসভা তথা সোনারগাঁ যুবলীগের প্রাণ ভোমরায় পরিনত হন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ও ১২ বছর সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি থাকাকালীন কোন রকম অন্যায় ও অপকর্মের সাথে আপোষ করেননি। ৪ দলীয় সরকারের আমলে দ্রুত বিচার মামলাসহ বিভিন্ন সময়ে কারানির্যাতিত হয়েও কোনো রকম টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় না দিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগকে রেখেছেন কলংকমুক্ত।

বাংলাদেশের ইতিহাসে গাজী মুজিবুর রহমানই যুবলীগের একমাত্র নেতা যিনি পদপদবী ও ক্ষমতার অপব্যবহার না করে, অতি সাধারন জীবন যাপন করেছেন এবং করছেন। যায়াতের জন্য এখন ও তিনি রিক্সার উপর নির্ভরশীল। ২০১১ সালে সোনারগাঁ পৌরসভার দলীয় মনোনয়ন ও জনগনের অকুন্ট ভালবাসা পেলেও দলীয় স্বার্থপর নেতাদের কুটকৌশলের কাছে মাত্র ৫৫৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০১৫ সালে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ নীতি নির্ধারকরা মনোনয়ণের জন্য কেন্দ্রে তার নামটি পর্যন্ত পাঠাননি। পরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কেন্দ্রে নাম পাঠাতে সফল হলেও তিনি মনোণয়ন বঞ্চিত হণ।
গাজী মুজিবুর রহমান মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও তিনি নৌকার জয়ের লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

গাজী মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি মহান নেতা,স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনকের আর্দশে বিশ্বাস করি। দলের স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। আমি সোনারগাঁ উপজেলা ও সোনারগাঁও পৌরবাসীর কাছে আজীবন ঋণি, তাঁরা আমাকে দু’হাত উজাড় করে দিয়েছে, বিনিময়ে আমি তাদের কিছুই দিতে পারিনি। আমি কোন পদ-পদবীর আশায় রাজনীতি করি না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও বিশ্বরত্ন ,মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার রাজনীতি করি।

আপনার মতামত জানান