সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নারী নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় টেঁটাবিদ্ধ শাহিদা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মারা যান। নিহত শাহিদা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার রাতে ব্যবসায়ী মো. সাদেকুর রহমান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমানের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গত বুধবার একটি বিচার-শালিস ডাকা হয়। বিচার-শালিসে উপস্থিত না হয়ে হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে।
এতে বাধা দেওয়ায় হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাদেকুর রহমানের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে, রামদা ও হকিস্টিকের আঘাতে হয়ে মো. মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শাহিদা বেগম, হামিদা,শারমিন, রেজাউল ও শাকিল আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাহিদা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়াও দেলোয়ার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান বলেন, স্থানীয় ইলিয়াসের কাছ থেকে আমার বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ৩৭ শতাংশ জমি এক বছর আগে ক্রয় করি। এ জমি ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করেছেন। সম্প্রতি আমি ক্রয় করার পর এ জমির মালিকানা দাবি করেন হাবিবুর রহমান কয়েক দফা জমি দখল করতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। তার মালিকানার কাগজপত্র নিয়ে বিচার শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে বললেও তিনি শালিসে উপস্থিত না হয়ে জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়েছেন। বাধা দেওয়ায় আমার আত্মীয়-স্বজনকে টেঁটাবিদ্ধ ও পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান শাহিদা বেগমের মৃত্যুও খবর নিশ্চিত করে বলেন, টেঁটাবিদ্ধ ও পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
আপনার মতামত জানান