সোনারগাঁয়ে এমপি খোকার বিরুদ্ধে মানববন্ধন
সোনারগাঁ জিআর ইনষ্টিটিউশনে জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রধান ফটক নির্মানের নাম ফলক ভাংচুরের প্রতিবাদে এমপি খোকার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, মোগরাপারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগ নেতা ও মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম রুমা, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক মাহবুব আলম মিলন, সদস্য সচিব মশিউর রহমান শামীম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রবিন, সোনারগাঁ পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির খোকন, উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দীন, সোনারগাঁ পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাসান বাবু প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ান হোসেন একজন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি জেলা পরিষদের অর্থায়নে সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জিআর ইনষ্টিটিউশনে প্রধান ফটক তৈরী করে নাম ফলক লাগিয়েছেন। জাতীয় পার্টির এমপির নির্দেশে তার সমর্থকরা নাম ফলক ভেঙ্গে দিয়েছেন। একজন জাপার এমপি কি করে সাহস দেখান আনোয়ার হোসেনের নাম ফলক ভাংচুর করার। তাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষতে এ ধরনের কর্মকান্ড করলে সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কঠোর হস্তে দমন করবে বলে হুশিয়ারী কওে দেন তারা।
প্রসঙ্গত: সোনারগাঁ উপজেলার পানাম নগরে অবস্থিত সোনারগাঁ জি.আর ইনষ্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান ফটক ও প্রতিষ্ঠানটির বাউন্ডারি ওয়াল জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত হয়। গত ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে যান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গেইটের সামনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের উদ্বোধনী নামফলক দেখতে পেয়ে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা তার কর্মীদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি এমপি আমার নাম নেই! জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম এখানে কিভাবে দেওয়া হলো। তার নামফলক এখান থেকে এক ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য লিয়াকত হোসেন খোকা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়াকে নির্দেশ দেন। এমপির এ নির্দেশ পাওয়ার ২০ মিনিট পর তার কর্মীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন।
আপনার মতামত জানান