সৈয়দ আবুল মকসুদের ইন্তেকাল এক নক্ষত্রের পতন

প্রকাশিত


খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে নানা বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন। বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। পাশাপাশি কাব্যচর্চাও করেছেন। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের ওপর। বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও মা সালেহা বেগম। শৈশব থেকে আবুল মকসুদ দেশি বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা পড়ার সুযোগ পান।

সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৪ সালে এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এটি ছিল পাকিস্তান সোশ্যালিস্ট পার্টির মুখপত্র। পরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সমর্থিত সাপ্তাহিক ‘জনতা’য় কাজ করেন কিছুদিন। পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বার্তা সংস্থায় যোগ দেন। ২০০৮ সালের ২ মার্চ বার্তা সংস্থার সম্পাদকীয় বিভাগের চাকরি ছেড়ে দেন। তিনি দৈনিক প্রথম আলোর একজন নিয়মিত কলামিস্ট। এই দৈনিকে ‘সহজিয়া কড়চা’ এবং ‘বাঘা তেঁতুল’ শিরোনামে তিনি সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে কলাম লেখেন।

প্রসঙ্গত, সাদা মনের মানুষ সৈয়দ আবুল মকসুদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার কথা হয়েছে। এখন আর যে খুব বেশি ভালো মানের সাহিত্য হচ্ছে না, তা নিয়ে আক্ষেপও করেছেন। তবে আমার কয়েকটি বইয়ের নাম শুনে পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে তাঁকে আমার বই পৌঁছে দিতে পারিনি বলে আজ বড়ই দুঃখ হচ্ছে। ভেবেছিলাম, এবারে নতুন বইটি (রক্তফুল) হাতে পাওয়া মাত্রই তাকে পৌঁছে দিবো। কিন্তু এর আগেই তিনি চিরবিদায় নিলেন।

লেখক:

কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক দীপু 
সদস্য, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সাংগঠনিক সম্পাদক, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন, ঢাকা।

আপনার মতামত জানান