সেরা তারকা অ্যারন ফিঞ্চ

প্রকাশিত

সাকিব আল হাসান, জো রুট আর ডেভিড ওয়ার্নারের ভেতর মিউজিক্যাল চেয়ারই চলছিল এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান নিয়ে। শুরুতে কিছুদিন শীর্ষে ছিলেন সাকিব, শুক্রবার তাঁকে ছাড়িয়ে যান জো রুট। তবে ব্যবধানটা খুব একটা বাড়াতে পারেননি। কাল অ্যারন ফিঞ্চ এক ইনিংসেই সবাইকে পেছনে ফেলে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে দখল করে নিয়েছেন সিংহাসনটা। ৩৪৩ রান করে এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ফিঞ্চ, জেসন রয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত ইনিংসটারও মালিক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাল খেলেছেন ১৩২ বলে ১৫৩ রানের ইনিংস, ১৫ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায়। তাতেই সবাইকে পেছনে ফেলে শীর্ষে ফিঞ্চ।

বিশ্বকাপের আগে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন ফিঞ্চ। ইংল্যান্ডে এসেও সেই ছন্দ হারাননি। প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ৬৬, ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৬, ভারতের বিপক্ষে ৩৬ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮২ রানের ইনিংস খেলে বড় কিছুরই আশ্বাস দিচ্ছিলেন। বিস্ফোরণটা হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নুয়ান প্রদীপের করা ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটাই ছিল কাল ফিঞ্চের খেলা প্রথম ডেলিভারি। অফসাইডের একটু বাইরে ভালো লেন্থে করা বলটাকেই যেভাবে আলতো ছোঁয়ায় চোখের পলকে মিডউইকেট অঞ্চল দিয়ে সীমানাছাড়া করলেন, তাতেই বোঝা যায় দিনটা হতে যাচ্ছে ফিঞ্চের। ৩৫ রানে থাকতে থিসারা পেরেরার বলে লেগ বিফোর উইকেটের জোরালো আবেদন উঠেছিল, রিভিউও নিয়েছিলেন করুণারত্নে। তাতে ফল মেলেনি, টিকে যান ফিঞ্চ। টিকে থেকে শ্রীলঙ্কার বোলারদের জীবনটা করে তোলেন আরো দুর্বিষহ। প্রথম ৫০ রান আসে ৫৩ বলে, ৭ বাউন্ডারিতে। ১০০ রানে পৌঁছে যান ৯৭ বলে, ৮ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায়। শতরান পাওয়ার পরই সবচেয়ে বেশি মারকুটে হয়ে ওঠেন ফিঞ্চ। পরের ৫০ করেন মাত্র ৩১ বলে, সব মিলিয়ে ১৫ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় জায়গায় দাঁড়িয়েই ৯০ রান নিয়ে ১৫৩ রানের ইনিংস ফিঞ্চের, যার শেষটা ইসুরু উদানার গতির তারতম্যে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে।

স্মিথ-ওয়ার্নারের প্রত্যাবর্তনের পর সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছিল তাঁদের নিয়েই। ফিঞ্চ যেন মনে করিয়ে দিলেন, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের ভূমিকায় তিনিও কারো চেয়ে কম যোগ্য নন।

আপনার মতামত জানান