সালমান শাহ’র পরিবার পিবিআই-এর প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তদন্তের পর জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড নয়, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে মানসিক যন্ত্রণায় বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন।
আজ সোমবার সকালে ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পিবিআই প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার।
এদিকে পিবিআইয়ের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সালমানের পরিবার, শিগগিরই পুনরায় তদন্তের আবেদন জানাবেন তারা। সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম বলেন, ‘পিবিআই যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি। শিগগিরই আমরা পুনরায় তদন্ত করার জন্য আবেদন জানাব। সালমানের মা নীলা চৌধুরী অসুস্থ। লন্ডনে আছেন তিনি। তার সঙ্গে কথা বলে আইনজীবীর মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নিব আমরা।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি।
অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়।
সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। এরপর বেশ কয়েকবার একে আত্মহত্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সালমানের পরিবার তাতে নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চায়।
প্রায় ১৮ বছর আগের এই মৃত্যুর ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা নির্ধারণে গত বছরের জানুয়ারি মাসে মামলাটি আবারও আদালতে ওঠে। তখন মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে দায়িত্ব দেয় আদালত।
আপনার মতামত জানান