সাকিব বিশ্বকাপে সবাইকে ছাড়িয়ে সাইফউদ্দিন ও আছেন

প্রকাশিত

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করলেও পরে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে টাইগার বাহিনী। বাংলাদেশের সর্বশেষ দুই ম্যাচে দলগত পারফরম্যান্স কিছুটা হতাশাজনক হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বিশ্বের বড় বড় খেলোয়ারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন টাইগাররা।

বাংলাদেশের তিন ম্যাচ শেষে ব্যাটিংয়ে যেমন সাকিব আল হাসান আছেন রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে। তিন ম্যাচে ২৬০ রান তুলে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব। বিশ্বকাপের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত পঞ্চাশ বা তদুর্ধ ইনিংস খেলার দিক থেকেও শীর্ষে আছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৪ বলে ৭৫, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৮ বলে ৬৪ এবং সর্বশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ বলে ১২১ রান করেন সাকিব। একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরি নিয়ে সাকিবের পরে রয়েছেন ভারতের রোহিত শর্মা, ইংল্যান্ডের জস বাটলার, জো রুট এবং জেসন রয়।

৮৬.৬৬ গড় নিয়ে শীর্ষ ব্যাটিং গড়ের ব্যাটসম্যানদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন সাকিব। ১৭৯, ১১৯ ও ৯২ ব্যাটিং গড়ে তার আগে রয়েছেন যথাক্রমে ভারতের রোহিত শর্মা, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও অস্ট্রেলিয়ার নাথান কুল্টার নাইল, ৮২ গড়ে পঞ্চম অবস্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার করুনারত্নে। এছাড়াও এক ইনিংসে চার ও ছক্কায় সর্বোচ্চ রানের মালিকের তালিকায় এখন পর্যন্ত পঞ্চম অবস্থানে আছেন সাকিব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেখেলা ১২১ রানের ইনিংসে ১২ টি চার ও একটি ছক্কায় মোট ৫৪ রান তুলে তালিকায় পাঁচে রয়েছেন তিনি।

এই পরিসংখ্যানগুলো স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে শুধু বাংলাদেশের হয়ে নন, পুরো বিশ্বকাপের রান সংগ্রাহকের রাজা হতে চলেছেন সাকিব! ব্যাটসম্যান সাকিবের এই পরিসংখ্যান বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোয় কাজে লাগাতে পারলে তাতে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে বাংলাদেশ দলের।

বোলিংয়ের ক্ষেত্রে এবার মাশরাফি-মুস্তাফিজদের টপকে সেরা বোলিং নৈপুণ্য উপহার দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিছুটা খরুচে হলেও উইকেট তুলে নেওয়ার কাজটা একেবারে মন্দ করছেন না এই পেস অল-রাউন্ডার। তিন ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় আছেন আট নম্বরে। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই পেয়েছেন দু’টি করে উইকেট। তিন ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে মোট ২৪ ওভার বল করে একটি মেডেন নিয়ে মোট দিয়েছেন ১৭৬ রান। ২৯.৩৩ বোলিং গড়ে এই অলরাউন্ডারের ইকোনমি রেট ৬.৩৩।

একই সংখ্যক ম্যাচে ৩০ ওভার বল করে ১৫৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ রয়েছেন তালিকার একাদশ নম্বরে। এছাড়াও বাংলাদেশিদের পক্ষে উইকেট শিকারের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে মুস্তাফিজুর রহমান (তিন ম্যাচে চার উইকেট), সাকিব আল হাসান (তিন ম্যাচে তিন উইকেট) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (তিন ম্যাচে ২ উইকেট)।

চলতি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত অর্জনের তালিকায় বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা উপরের দিকে থাকলেও দলগত অর্জনে রয়েছে কিছু হতাশা। প্লেয়ারদের ব্যক্তিগত অর্জনকে কাজে লাগিয়ে সমন্বিত দলীয় পরফরম্যান্সে সামনে এগিয়ে যেতে পারলে ক্রিকেট পাগল এই জাতির জন্য এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!

আপনার মতামত জানান