সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে বুঝবেন ১২ উপায়ে
অন্ত:স্বত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই অনাগত সন্তানের লিঙ্গ নিয়ে চরম আগ্রহ থাকে দম্পত্তির। নারী ছেড়া ধনটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে সেই চিন্তা থাকে প্রায় সবার মাথায়। কারণ তাকে ঘিরেই তো স্বপ্ন বুনন করতে থাকেন বাবা মা।
আধুনিক চিকিৎসায় আলট্রাস্নোগ্রাফের সাহায্যে লিঙ্গ জানা যায়। তবে এটি একেবারে নির্ভূল পদ্ধতি নয়। তবে অন্ত:স্বত্ত্বা মায়ের কিছু উপসর্গ আছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন, সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে।
১. মর্নিং সিকনেস: একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঘোরা, বমি-বমি ভাব এসব লক্ষণ দেখা দিলে মনে কোনো সন্দেহ রাখবেন না যে, আপনার অনাগত সন্তান ছেলে।
২. বা দিকে ফিরে ঘুম : কোন দিকে ফিরে ঘুমাচ্ছেন খেয়াল করুন! এই সময় মা এতটাই ক্লান্ত থাকেন যে শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুম চলে আসে। তারপক্ষে এটা বোঝা সম্ভবই হয় না যে কোন দিকে ফিরে তিনি ঘুমাচ্ছেন। এক্ষেত্রে এই কাজটি করতে হবে স্বামীকে। যদি দেখেন আপনার স্ত্রী বাঁদিকে ফিরে ঘুমোচ্ছে, তাহলে আশা রাখতে পারেন যে আপনাদের ছেলেই হবে।
৩. পেটের অবয়ব: আপনার পেট কি নিচের দিকে বেশি ঝুঁকে গেছে? এমনটা হলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৪. হার্ট রেট ওঠা-নামা: গর্ভাবস্তায় চিকিৎসকেরা প্রায়শই বাচ্চার হার্ট রেট মেপে থাকেন। এই সময় যদি দেখা যায় বাচ্চার হার্ট রেট ১৪০ বিট/ প্রতি মিনিট রয়েছে, তাহলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে ছেলে বাচ্চাই জন্ম নিতে চলেছে।
৫.ইউরিন কালার: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে গর্ভাবস্তায় মায়ের প্রস্রাবের রং যদি গাড় হলদেটে হয়, তাহলে বুঝতে হবে ছেলে সন্তান হতে চলেছে। আর যদি দেখেন উজ্জ্বল হলুদ রঙের প্রস্রাব হচ্ছে, তাহলে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে আপনি মেয়ে সন্তানের মা হতে চলেছেন।
৬. হাতের তালু বারে বারে শুকিয়ে যাবে : প্রেগন্যান্সির সময় বারে বারে হাতের তালু শুকিয়ে যাওয়ার অর্থ হল ছেলে সন্তান জন্ম নিতে চলেছে।
৭. ব্রণর প্রকোপ: প্রেগন্যান্সির সময় একাধিক হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হয় না। যে কারণে এমনিতেই বিভিন্ন রকমের ত্বকের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যদি দেখেন ব্রণর সমস্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে জানবেন আপনার পেটে ছেলে সন্তান বড় হয়ে উঠছে।
৮. ক্ষুধা বেশি লাগা: ভাবি মায়ের ক্ষিদে কি খুব বেড়ে গেছে? অল্প সময় অন্তর অন্তরই মনে হচ্ছে পেটে যেন ছুঁচো দৌড়াচ্ছে? তাহলে তো অভিনন্দন জানাতে হয়। কারণ ছেলে সন্তান হওয়ার আগে এমনই সব লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে।
৯. ব্রেস্টের মাপ: গর্ভাবস্তায় ভাবী মায়ের ব্রেস্টের মাপ এমনিতেই বেড়ে যায়। কারণ এই সময় মায়ের শরীরে দুধের সঞ্চয় হতে শুরু করে। সাধারণত এই সময় ডান দিকের থেকে বাঁদিকের ব্রেস্ট একটু বেশি মাত্রায় ভারি হয়ে যায়। কিন্তু যদি উল্টো ঘটনা ঘটতে দেখেন তাহলে নিশ্চিত থাকবেন আপনার ছেলে হতে চলেছে।
১০. ওজন বৃদ্ধি: মায়ের পেটে ছেলে সন্তান থাকলে দৈহিক ওজন স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেড়ে যায় এবং পেটটা একটু অতিরিক্ত মাত্রায় ফোলা মনে হয়। প্রসঙ্গত, মেয়ে সন্তান পেটে থাকলে সাধারণ মায়ের সারা শরীরেই মেদের হার বৃদ্ধি পায়, এমনকী মুখেও। এই ভাবেই অনেকাংশে বুঝতে পারা সম্ভব হয় যে ছেলে হতে চলেছে না মেয়ে।
১১. পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া: এমন ধরনের লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন যে ছেলে সন্তানের জন্ম হতে চলেছে।
১২. চুলের ঘনত্বে পরিবর্তন আসবে: মায়ের চুলের বৃদ্ধির হার দেখেও বলে দেওয়া সম্ভব ছেলে হতে চলেছে না মেয়ে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে মায়ের চুলের গ্রোথ যদি স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়, তাহলে কোনও সন্দেহই থাকে না যে আসন্ন বাচ্চা ছেলে হতে চলেছে।
সূত্র : বোল্ড স্কাই
আপনার মতামত জানান