শুভেচ্ছায় সিক্ত মাহবুব কবির মিলন

প্রকাশিত



নিরাপদ খাদ্য থেকে রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব- সর্বক্ষেত্রেই মানুষের মন জিতে নিয়েছিলেন মাহবুব কবির মিলন। কোনো সরকারী কর্মচারীর এতটা জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে বেশ বিরল ঘটনাই বটে। রেলকে বদলে দিতে দারুণ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এরপর তার হুট করেই ওএসডি করে রাখা হয়। অবশেষে গতকাল ১৪ ডিসেম্বর মাহবুব কবীর মিলনের চাকুরিজীবন শেষ হলো।

সোশ্যাল সাইটে নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়ে মাহবুব মিলন লিখেন, ‘আজ শেষ হল চাকুরি জীবন। অবসর হল শুরু। আমার নাম শুনলেই অসংখ্য মহোদয়ের গায়ে চাকাচাকা লাল এলার্জি উঠে যায়, এটাই আমার চাকুরি জীবনের অন্যতম সার্থকতা। আশা করি সামনে আরও উঠবে ইনশাআল্লাহ। সবাইকে কেনা যায় না, মাথা নত করানো যায় না, সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি, এটাই আমার জীবনের পরম শান্তির বিষয়। আলহামদুলিল্লাহ। সকল সন্মানের মালিক একমাত্র আল্লাহপাক।’

এরপর থেকেই মাহবুব কবির মিলনের জন্য প্রশংসা আর শুভকামনায় ভরে যায় সোশ্যাল সাইট। প্রত্যেকে তার অবসর জীবনের জন্য শুভকামনা জানান। দেশের জন্য ভালো হয় এমন কোনো কাজে যুক্ত থাকার অনুরোধও করেন কেউ। মাহবুব মিলনের পোস্টে্ও তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অবশ্য কিছুদিন আগেই তিনি আদালতের নির্দেশে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণায় অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র অন্তবর্তীকালীন বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়াও দারুণ চ্যালেঞ্জিং।

কিছুদিন আগেই নিজের অবসর জীবন নিয়ে মাহবুব মিলন লিখেছিলেন, ‘চাকুরি থেকে অবসরের পর আমি কী করব তা আল্লাহপাক ভাল জানেন। অনেকেই যোগাযোগ করেছেন বিভিন্ন খাদ্য পণ্য নিয়ে, তাঁদের সাথে থাকার বা পরামর্শ দেয়ার। খাদ্য পণ্যকে সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত এবং জনগণের আস্থার্জনের জন্য সবাইকেই পরামর্শ দেব ইনশাআল্লাহ। আপনারা কনফার্ম হয়ে আপনাদের ফার্ম, বা পণ্যের তালিকা দেবেন আমাকে। আমি কীকী পরীক্ষা করতে হবে, কোন ল্যাবে তা বলে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। নির্ভেজাল খাদ্য পণ্যের জন্য এগিয়ে আসুন সবাই। আমাদের বাচ্চাদের বাঁচাতে হবে। আমি জানি এদেশের প্রত্যেক খাদ্য পণ্যে কী আছে এবং সেটাকে কিভাবে আরো ভাল করা যায়। শুধু আমাদের সদিচ্ছার দরকার।’

দিনশেষে এমন সৎ এবং দেশপ্রেমিক সরকারী কর্মচারীই চাইবে বাংলাদেশ।

আপনার মতামত জানান