লুৎফুল কবীরের পিএইচডি জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের (লুৎফুল কবীরের) পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আইন মেনে দেওয়া হচ্ছে কি না তা তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ দেন। আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রির জন্য শিক্ষার্থী বা গবেষকের জমা দেওয়া থিসিস অনুমোদনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে যাচাই করার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং জালিয়াতি রোধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে শিক্ষাসচিব, ইউজিসি চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের।

পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকনের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেন আদালত। পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত

উল্লেখ্য, পিএইচডি ডিগ্রী জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত লুৎফুল কবীর কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ড. সেলিনা স্বামী।

আপনার মতামত জানান