মারীথালী নদী থেকে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে থানা রোড
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মারীখালি নদীতে নির্মিত হচ্ছে তৃতীয় সেতু। রতনপুর-হাতকোপা গ্রামে ৬ কোটি ৪২ লাখ ৭২ হাজার ৪১৫ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন আরসিসি গার্ডার ব্রিজের ৫০ ফুটের মধ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিয়মিত অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর সেই বালু ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজে। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে নির্মাণাধীন ব্রিজ ও চৌরাস্তা থেকে বৈদ্যের বাজার সড়ক এবং পার্শ্ববর্তী বড় বড় পাকা স্থাপনাগুলো। অথচ নির্মাণাধীন ব্রিজের নির্মাণ কাজ পরিচালনার জন্য নিযুক্ত স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধির তা চোখেই পড়ছে না।
জানা যায়, এর পূর্বে একই নদীতে আরো দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। একটি সেতু থেকে অন্য সেতুর দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার। গত এক মাস ধরে মারীখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রশাসনকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করার পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওযার্ক অর্ডারে ব্রিজের বালুর জন্য অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা ধরা হলেও প্রভাবশালী মহল উপজেলা প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে নদী থেকে নিয়মিত বালু উত্তোলন করছে। তবে প্রশাসন থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে কোনো ধরনের অভিযান না থাকার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্রিজের ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম নান্নু।
নদীর উভয় তীরের বাসিন্দারা জানান, যেভাবে বালু উত্তোলন করছে এসে ভাঙনের কবলে পড়বে নদীর উভয় তীর এবং নদী তীরে গড়ে ওঠা বহুতল দালানকোঠা। তারা জানান, সোনারগাঁ থানা রোডের পাশ থেকে বালু কাটায় এর মধ্যে রাস্তায় ফাটল ধরতে শুরু করেছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে রাস্তাটি ভেঙে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হবে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী এ কে এম শহীদুল ইসলাম জানান, উপজেলার পিরোজপুর থেকে সোনারগাঁ পৌরসভার থানারোডে যাতায়াতের জন্য মারীখালী নদীর ওপর ৬ কোটি ৪২ লাখ ৭২ হাজার ৪১৫ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫৪ মিটার সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। বালু কোথায় থেকে আনবে সে বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে তিনি জানান, নির্মাণাধীন ব্রিজের পার্শ্বে বালু উত্তোলন মারাত্মক ঝুঁকি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত জানান