মামুনুল ঝর্নাকে নানা জায়গায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেন
ঝর্ণার স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার সুবাদে মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। পরবর্তীতে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে মামুনুল তাকে নানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া’সহ শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেন বলে জানিয়েছেন মামুনুল হকের দাবী করা কথিত স্ত্রী ঝর্ণা। এ ছাড়াও মামুনুল হক তাকে কোথায় কখন নিয়ে ধর্ষণ করেছেন তা বলেছেন মামলার বাদী। ঝর্ণার জবানবন্দি শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন জানান, ৪১ বার বাদী ঝর্ণাকে মামুনুল হকের আইনজীবীরা বলেছেন আপনি মামুনুল হকের স্ত্রী। জবাবে প্রতিবারই না বলেছেন ঝর্ণা বেগম।
এর আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় সকালে মামুনুলকে আদালতে আনা হয়। এ সময় মামুনুল হকের অনুসারীরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেয়।
নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রকিবুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে ঝর্ণা বেগমকে নিয়ে জনতার হাতে অবরুদ্ধ হওয়ার পর স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন মামুনুল হক। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন ঝর্ণা। গত ৩ নভেম্বর এ মামলায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন হয়।
আপনার মতামত জানান