‘মাকে বলিস না, আমি টানেলে আটকে আছি’
‘মাকে বলিস না, আমি টানেলে আটকে আছি’
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে নির্মাণাধীন টানেলের একটি অংশ ধসে আটকে থাকা ৪০ শ্রমিককে এখন উদ্ধার করা যায়নি। কীভাবে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে নানান পরিকল্পনা হলেও এখনও আশার আলো দেখতে পাননি উদ্ধারকারীরা।
তবে শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত জোগান দেওয়া হচ্ছে পানি, খাবার ও অক্সিজেন। কিন্তু যতই সময় এগোচ্ছে ততই বাড়ছে উদ্বেগ। বাড়ির লোক আটকে রয়েছেন জানতে পেরে যে চোখের পাতা এক করতে পারছেন না অসংখ্য পরিবার।
৪০ জনের সেই দলে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের চম্পাবত জেলার ছানি গোথ গ্রামের বাসিন্দা পুস্কর। বছর পঁচিশের ওই যুবকের ভাই বিক্রমও নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত। বাড়িতে রয়েছেন তাদের বৃদ্ধ বাবা-মা। সুড়ঙ্গ ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে বাবা-মাকে কিছু না জানিয়েই উত্তরকাশীতে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন বিক্রম। দিনরাত ভাই কেমন আছে তা জানতেই উদ্বেগে দিন কাটছে তার।
এক সংবাদমাধ্যমকে বিক্রম জানিয়েছেন, ঘটনার ছয় দিনের মাথায় অর্থাৎ শুক্রবার ভাইয়ের সঙ্গে কয়েক মুহূর্তের জন্য তিনি যোগাযোগ করতে পারেন। বিক্রম বলেন, ‘ওর গলা শুনে মনে হচ্ছিল খুব ক্লান্ত, আতঙ্কিত হয়ে আছে। কিন্তু আমাকে বার বার আশ্বাস দেওয়ার জন্য বলেছে যে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ভাই একা নয়, ওর সঙ্গে আরও অনেকে আছে।’
কয়েক মুহূর্তের কথার মধ্যেই বিক্রমও ভাইকে চিন্তা না করার কথা বলেন। আর ভাইয়ের গলা শুনেই পুস্কর বলে ওঠে, ‘আমি যে সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছি মাকে বলিস না। চিন্তা করবে।’ কিন্তু পুস্করের সুড়ঙ্গে আটকে থাকার কথা যে বাবা-মাযের থেকে গোপন রাখা যায়নি। গ্রামবাসীদের অনেকে বিষয়টি জানতেই বাবা-মায়ের কানেও ছেলের খবর পৌঁছে গেছে বলে জানান বিক্রম।
আটকে পড়া শ্রমিকদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওয়াকি-টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা যোগাযোগ করছেন। টানেলের কাছে মোতায়েন রাখা হয়েছে একটি মেডিকেল টিম। তবুও শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার না করা পর্যন্ত চিন্তা কমছে না।
ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ উদ্ধারকাজ চলার সময় একটি বড় ফাটলের শব্দ শোনা যায়। সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো দলগুলোর মধ্যে আতংকে ছড়িয়ে পড়ে। আরও ধস নামার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনতে থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের দু’টি সংস্থাকেও ডেকে পাঠিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ১৬৫ জন সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজের বাহিনী। জানা গিয়েছে, ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গে আটকে আছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন শ্রমিক।ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ উদ্ধারকাজ চলার সময় একটি বড় ফাটলের শব্দ শোনা যায়। সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো দলগুলোর মধ্যে আতংকে ছড়িয়ে পড়ে। আরও ধস নামার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনতে থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের দু’টি সংস্থাকেও ডেকে পাঠিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ১৬৫ জন সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজের বাহিনী। জানা গিয়েছে, ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গে আটকে আছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন শ্রমিক।
প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে টানেলের ভেতরে ধসের ঘটনা ঘটে। টানেলটির নির্মাণকাজ চলছিল। বেশ কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ সুড়ঙ্গের কাঠামো ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক।
আপনার মতামত জানান