ভাইয়ের প্রেমিকাকে অপহরণ করে বিয়ে করল ছোট ভাই
নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে কৌশলে অপহরণ করে বিয়ের অভিযোগে মো. ফরহাদ (২২) নামে একজনকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার কানন আবাসিক এলাকা থেকে ওই যুববক আটক করা হয়। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বড় ভাইয়ের প্রেমিকাকে অপহরণ করে বিশেষ কৌশলে বিয়ে করেছিল আটক ফরহাদ।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, ফয়সাল ও ফরহাদ আপন দুই ভাই। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ফরহাদের বড় ভাই ফয়সালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ফয়সালের কথামতো তার ভাই ফরহাদের সঙ্গে সাগরপথে চট্টগ্রাম চলে আসে ওই ছাত্রী। ভিকটিমের সঙ্গে ফয়সালের কথা ছিল চট্টগ্রাম আসার পর তাকে বিয়ে করবে। কিন্তু ভিকটিমকে অপহরণের ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ফয়সালকে আটক করে। এরপর ফয়সাল ও তার পরিবারের সদস্যরা আসামি ফরহাদকে ওই ছাত্রীকে সন্দ্বীপে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য অুনরোধ করে। কিন্তু ফরহাদ ওই ছাত্রীকে নিয়ে ফিরে যায়নি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, সে প্রথমে হাটহাজারী সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় ও ভিকটিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে তারা ছলিমপুর ছিন্নমূলের এক কথিত কাজীর সহায়তায় বিয়ে করে। ১২ ফেব্রুয়ারি টিকা দিয়ে ভিকটিম ফেরত না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে জানতে পারে ফরহাদ ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি পরিবারের সদস্যরা সন্দ্বীপ থানায় মামলা করেন। মামলা দায়ের পর থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটকের লক্ষ্যে র্যাব কঠোর নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বায়েজিদ থেকে ফরহাদকে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফরহাদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। সে অসৎ উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে অপহরণ করে আত্মগোপন করেছিল।
আপনার মতামত জানান