বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকান্ডে জড়িত ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার

প্রকাশিত

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের ১১ জনের সংশিল্ষ্টতা পাওয়ায় তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

হত্যার ঘটনায় গঠন করা ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন, মেহেদি হাসান (সাংগঠনকি সম্পাদক), অনিক সরকার (তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক), মেফতাহুল ইসলাম জিওন (ক্রীড়া সম্পাদক), ইশতি মোশাররফ সকাল (সমাজ সেবা সম্পাদক), মোজতবা রাকিব (উপ দপ্তর সম্পাদক), মুনতাসির আল জেনি (সদস্য, বুয়েট ছাত্রলীগ), ইখতে মামুন তানিম (সদস্য, বুয়েট ছাত্রলীগ), মুজাহিদুর রহমান (সদস্য, বুয়েট ছাত্রলীগ), মেহেদি হাসান রাসেল (সাধারণ সম্পাদক বুয়েট), মুনিরুজ্জামার মুনির (সাহিত্য সম্পাদক), মুহতাসিম ফুয়াদ (সহ সভাপতি)।

রবিবার রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই হলের শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। পরে শিক্ষার্থীরা রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয়তলার সিঁড়িতে তার লাশ পায়।

সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, ভোঁতা কিছু দিয়ে মারা হয়েছে। ফরেনসিকের ভাষায় বলে- ব্লান্ট ফোর্সেস ইনজুরি। বাংলা কথায়, ওকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।

শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো নিহত আবরার ফাহাদ।

রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে এই ঘটনা ঘটে।

হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিবির সন্দেহে আবরারকে রবিবার রাত আটটার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আপনার মতামত জানান