বুলেট-বোমা-গ্রেনেড আমার জন্য অপেক্ষায় থাকে: প্রধানমন্ত্রী
দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলে, স্বাধীনচেতা হলে অনেক বাধা আসে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি জানি অনেক বুলেট-বোমা-গ্রেনেড আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আমি সেগুলো নিয়ে কখনও পরোয়া করি না।’তিনি বলেন, ‘আমি জানি স্বাধীনচেতা হলে অনেক বাধা আসে। আর দেশকে ভালোবেসে, শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে যারা পথ চলে—তাদের পথ চলা কখনও সহজ হয় না। অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়।’প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে, মানুষও সেই উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে।
রোববার (০২ জানুয়ারি) সকালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি প্রদান আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের সুন্দর জীবন নিশ্চিতে যেকোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রুখে দিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ সরকার। দেশ উন্নয়নে স্বাধীনচেতা হলেই অনেক বাঁধা-বিপত্তি আসে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব বাঁধা পদদলিত করেই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস গতি কিছুটা থামিয়ে দিলেও, থমকে যায়নি বাংলাদেশ বরং অনেক দেশকে ছাড়িয়ে অর্থনৈতিক গতিধারায় এগিয়ে আছে ছোট্ট বাংলাদেশ। এরই মধ্যে মাথাপিছু আয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ অনেক পরিসংখ্যানেই এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের স্বীকৃতিও মিলেছে জাতিসংঘের কাছ থেকেও।
গেল নভেম্বর, বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। আর এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশের পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল দেশটি। জাতিসংঘের এমন স্বীকৃতি উৎযাপন আনুষ্ঠানিকতায় লক্ষ্য পূরণের প্রতিশ্রুতি জানান বাংলাদেশ সরকার প্রধান। তিনি বলেন, শত বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনাও করছে সরকার।
এ গতিধারা যাতে থেমে না যায় তার জন্য আগামী প্রজন্মের প্রতিও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গণভবন প্রান্তে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত জানান