বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে ফার্মগেটে একজন নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও মানুষের ভিড়। আজ রোববার দুপুরেফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও মানুষের ভিড়।
আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় নিচে থাকা একজন পথচারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
নিহত ওই পথচারীর নাম আবুল কালাম (৩৫)। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুরে।
এর আগেও গত বছর সেপ্টেম্বরে ফার্মগেট এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় পথচারী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন। নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এ কারণে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের এসব বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন আনুমানিক ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্যই মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দাঁড়িয়েছিলেন নিহত আবুল কালামের স্বজন আরিফ হোসেন। বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আবুল কালাম ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন। পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায় থাকতেন। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায়।
আবুল কালামের মা–বাবা নেই। স্ত্রী আর দুটি সন্তান আছে বলে জানান আরিফ হোসেন। ঢাকায় ট্রাভেল এজেন্সির কাজে এসেছিলেন তিনি।
আরিফ হোসেন আরও বলেন, দুপুরে আবুল কালামের নম্বর থেকে অপরিচিত একজন ফোন দিয়ে গুরুতর দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানায়। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আসার জন্য বলে। পরে হাসপাতালে এসে তিনি মৃত্যুর খবর পান।


আপনার মতামত জানান