বিপিএম-পিপিএম পদক পাচ্ছেন যারা
সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে চারটি ক্যাটাগরিতে পদক দেওয়া হবে। এ বছর মোট ১১৮ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক-পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা পদক দেওয়া হচ্ছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পদকপ্রাপ্তদের প্যারেডে অংশ নেওয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) হায়দার আলী খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১১৮ জনকে মঙ্গলবার বেলা ৩টার সময় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সূত্রে জানা গেছে, এবার যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে ১১৮ জনকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় পুলিশ সপ্তাহে এই পদক দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদক তুলে দেবেন।
জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত সদস্যরা সর্বাধিক ৩০টি পদক পেতে যাচ্ছেন। এরমধ্যে ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা পাচ্ছেন ১৫টি পদক। ডিএমপির পরের অবস্থানে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। র্যাবে কর্মরত ১৮ জন পেতে যাচ্ছেন বিপিএম-পিপিএম পদক। এছাড়া পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ১২ জন পদক পেতে যাচ্ছেন, পিবিআই এর ডিআইজি বনজ কুমারসহ ৫ জন পাবেন পদক।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বছরজুড়ে ভালো কাজ, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণ ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য চারটি ক্যাটাগরি বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক-পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা পদক দেওয়া হয়। গত বছর রেকর্ড সংখ্যক এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। এ কারণেই একযোগে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও রেঞ্জ ডিআইজি ও মেট্রোপলিটন এলাকার কমিশনাররা সবাই পদক পান।
পদক পাচ্ছেন যারা
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিএমপি: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জামিল হাসান, উপ-কমিশনার শ্যামল কুমার মুখার্জী, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান, ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ, ডিবি দক্ষিণের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ, ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আর এম ফয়জুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরিফুল ইসলাম, ডিবি পূর্ব বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আতিকুল ইসলাম, ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, ডিএমপির গেন্ডারিয়া থানার ওসি সাজু মিয়া, ডিএমপির আরওআই কাইয়ুম শেখ, শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান, ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম, শ্যামপুর থানার এসআই সোহাগ চৌধুরী ও এএসআই মাসুম বিল্লাহ।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট: কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মিশুক চাকমা, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম নাজমুল হক, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজা লিজা, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহসান হাবীব, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার অহিদুজ্জামান নুর, সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, এসআই আশুতোষ শীল, এএসআই সোলাইমান হোসেন, নায়েক মোহাম্মদ রাসেল মিয়া ও কনস্টেবল সালমান হাজারী।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন : র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, সদর দফতরের লে. কর্নেল মীর আসাদুল আলম, পরিচালক (গোয়েন্দা) লে. কর্নেল মাহাবুব আলম, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ, র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ, র্যাব-২ এর পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার মেজর শাহীন আজাদ, র্যাব হেডকোয়ার্টার্সের উপ-পরিচালক মেজর এসএম সুদীপ্ত শাহীন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার মেজর মনিরুল ইসলাম, মেজর মাহমুদ হাসান তারিক, র্যাব-৮ এর মেজর খান সজিবুল ইসলাম, র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদ আহম্মেদ, র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন ও সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, র্যাব হেডকোয়ার্টার্স এর সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম ও র্যাব-১ এর সৈনিক রাকিব হোসেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি মহাবুবুর রহমান ভুইয়া, এআইজি এ এফ এম আনজুমান কালাম, এআইজি তামান্না ইয়াসমীন, এআইজি মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, এআইজি মিলন মাহমুদ, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল হুদা আশরাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ রাজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম, পরিদর্শক জিয়াউর রহমান ও এসআই সোহাগ মিয়া।
স্পেশাল ব্রাঞ্চ, এসবি: পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, বিশেষ পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, বিশেষ পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম মিয়া, পুলিশ পরিদর্শক কাওছার আহম্মেদ, পরিদর্শক ইউনুস আলী শেখ, এসআই মনিরুজ্জামান ও এএসআই মোহাম্মদ মোহন মিয়া।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই): পিবিআই এর ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, পিবিআই ফেনী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পিবিআই গাজীপুর জেলার পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ও পিবিআই ফেনী জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম।
র্যাব পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, ১১ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান এর অধিনায়ক শাহীন আমীন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ-জিএমপির উপ-কমিশনার কে এম আরিফুল হক ও জিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মনজুর রহমান, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আরিফুর রহমান মন্ডল, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ফাহিম, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান, এসএসএফ এর এএসপি মিরাজুল ইসলাম, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, বরিশাল হিজলা নৌপুলিশের পরিদর্শক বেলাল হোসেন, শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান, বাগেরহাটের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের রাউজান থানার ওসি মোহাম্মদ কেপায়েত উল্লাহ, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপির পুলিশ পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম আব্দুর রহমান মুকুল, সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন, চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, রংপুরের তাজহাট থানার এসআই মামুনুর রশীদ, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই আক্রাম হোসেন, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ফিরোজ সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই ইসমাতারা, সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ইয়াছিন আরাফাত, মানিকগঞ্জ সিংগাইর থানার এসআই আল মামুন, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই জুলহাজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ তাড়াইল থানার এসআই রাজীব আহম্মেদ, টাঙ্গাইল দেলদুয়ার থানার এসআই হারুন অর রশিদ, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ওয়াদুদ আলী, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই বিলায়েত হোসেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মাইনুল ইসলাম, বগুড়া শেরপুর থানার এএসআই নান্নু মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবির এএসআই বিকাশ চন্দ্র সরকার, বগুড়া ডিবির এএসআই রানা হামিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার এএসআই আনোয়ার হোসেন, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওন এএসআই মরহুম আক্তার হোসেন, ঝিনাইদহ জেলার এএসআই শরিফুল ইসলাম, নৌ পুলিশ ঢাকার কনস্টেবল জীবন সিকদার ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ৬ এপিবিএন-এর কনস্টেবল ফয়সাল আহমেদ।
আপনার মতামত জানান