বরগুনায় ধর্ষকের ভয়াল বর্বরতা

ডিবিসি নিউজের বরিশাল প্রতিনিধি মো. ওমর ফারুক (সাব্বির খান) হৃদয়স্পর্শী যে বর্ণনা দিলেন তা শুনে আমি স্তম্ভিত!
তিনি বলছিলেন, “বরগুনায় গিয়েছিলাম, নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটির বয়স সব মিলে ১২ বছর হবে। হ্যাংলা পাতলা মেয়ে। গায়ে ওজন হতে পারে ৩০-৩২ কেজি।
তার ভাষ্য অনুযায়ী ধর্ষকের বাড়ির পেছনের এক ঝোপের মধ্যে হাত-পায়ে রশি বেঁধে তাকে আটকে রাখা হয়। এক রাতে ৩ বার ধর্ষণ করা হয় শিশুটিকে। পরের দিন সকালে ধর্ষক নিজেই মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।”
এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে মামলার শুনানীর আগের রাতে তাকেও হত্যা করা হয়েছে। ভয়াল বর্বরতার ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদরের তুলাতলি কালিবাড়ি এলাকায়, ধর্ষকের নাম সৃজিত চন্দ্র রায়।
ভুক্তভোগী মেয়েটি প্রশ্ন করেছিল- “ভাইয়া বাবার হত্যার বিচার চাইবো? নাকি আমার উপর হওয়া অমানবিক নির্যাতনের সেটা এখানো বুঝে উঠতে পারছিনা। আমার মায়ের কোলে দেড় মাসের একটা ছোট শিশু। আমিও ক্লাস সেভেনে পড়ি। বড় কোন ভাই নেই। কিভাবে আমাদের সংসার চলবে এটাও জানিনা। এখন বিচার চাইবো নাকি খেয়ে পরে বেঁচে থাকবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না।”
আমি কোন উত্তর না দিয়ে মেয়েটির ইন্টারভিউ বন্ধ করে দিয়ে তাকে ঘরের মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। কেননা তার প্রশ্নের জবাব আমার কাছে ছিল না।
ওমর ফারুক দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ধর্ষিতা শিশুটির প্রশ্নের জবাব আপনাদের কারো জানা আছে কি?
এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অপূর্ব সরকার নামের একজন শুধু বললেন, “আছিয়ার ভাগ্য ভাল, তাই আছিয়ার জন্য পুরো বাংলাদেশ কাঁদতেছে। বরগুনার ৭ম শ্রেণির মেয়েটার পরিবার ধ’র্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে বলে ধ’র্ষিতার বাবাকেই হ’ত্যা করে ফেলেছে। এ নিয়ে কারো কোন শব্দ নেই, কেউ কাঁদার নেই- পরিবারটার এখন কি হবে- তা ভাবার কেউ নেই। ধ’র্ষিতাকেও মনে হয় স্বধর্মী হতে হয়, নইলে সহানুভুতি নয়…”
আপনার মতামত জানান