বন্দীদশা থেকে জীবিত ফিরে আল-মোস্তফা গ্রুপের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকের মামলা

সোনারগাঁয়ে দুই পরিবহন শ্রমিককে ছয়দিন রশি দিয়ে বেধে রেখে অমানসিক নির্যাতনের পর পুলিশের সহযোগিতায় জীবিত উদ্ধার হয়েছে বলে জোনা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারগাঁয়ে
মেঘনা শিল্প নগরীর আল – মোস্তফা গ্রুপের নিজস্ব কারখানায়। শ্রমিককে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে আল মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও তার ছোট ভাই ইকবাল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত পরিবহন শ্রমিক মামুন (২৫) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী মামুন জানায়, গ ত বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২১ হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে আল মোস্তফা কোম্পানির কাঁচামাল নিয়ে সোনারগাঁ আসেন চালক মামুন ও হেলপার শহিদ। মেঘনা শিল্প নগরীর আল-মোস্তফা গ্রুপের গোডাউনে মাল খালাসের পর শ্রমিকরা তাদের ভাড়ার টাকা চাইলে কোম্পানির লোকজন মাল কম কম হওয়ার অভিযোগ তুলেন। এই অভিযোগে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবালের হুকুমে শ্রমিকদের ভাড়া না মিটিয়ে রশি দিয়ে কারখানার ভেতর খামের সাথে বেঁধে রাখেন বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।ছয়দিন বেঁধে রেখে শ্রমিকদের শারিরিক ও মানসিক নির্যা তন চালায়। এ ছয়দিন তাদেরকে একবেলা রুটি কলা ও এক গ্লাস পানি দেওয়া হয়।ছয় দিনের অনাহার ও পানির পিপাসায় তারা মৃত্যু পথযাত্রী হয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছে বলে জানান।

গাড়ির চালক ও হেলপারের খোঁজ না পেয়ে চালকের এক আত্মীয় আলী হোসেন আল মোস্তফা গ্রুপে এসে জানতে পারে মাল কম দেয়ার অভিযোগে গাড়ীর চালক ও হেলপারকে আটক করে রেখেছে। পরে আলি হোসেন ঘটনাটি পুলিশকে জানালে তারা ২ শ্রমিককে উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যান আল মোস্তফার ছোট ভাই ইকবালসহ আরো ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নির্যাতিত পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, সময় মতো তাদের উদ্ধার করা হলে তাদের নিশ্চিত মৃত্যু ছিলো। তাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবী করেন।

এ ব্যাপারে আল- মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর ইকবালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, গাড়ীর চালক ও হেলপারকে ৬ দিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করার অপরাধে আল- মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আটককৃত শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।