বন্দরে কবরস্থানের গাছ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

প্রকাশিত

বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে মসজিদের উন্নয়ন ও কবরস্থানের গাছ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুরসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত ও দুইটি বসত, ১টি প্রাইভেট কার ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গত রবিবার মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর ও অপর পক্ষে মোঃ মনির হোসেন মিয়া বাদী হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৩(৪)২১ ও ২৪(৪)২১। প্রত্যেক্ষদৃশি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া নয়াগাও বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদের উন্ন্নয়ন ও কবরস্থানের গাছ বিক্রিকে কেন্দ্র করে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবরের সাথে একই এলাকার সাকাওয়াত হোসেনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার বাদ আছর উল্লেখিত মসজিদের সামনে আওয়ামীলীগ নেতা মজিবর ও একই এলাকার সাখাওয়াতের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুরসহ উভয় পক্ষের আব্দুর রহিম মিয়া (২২) শান্ত (২১) দেলোয়ার (৪৫) ছগির (২৭) আনোয়ার (৪৫) সিরাজ (৭০) মোকলেছ (৬০)সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় এলাকাবাসী জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর, নারায়ণগঞ্জ জেনারেলসহ ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মনির হোসেন বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মজিবর এবং তার বড় দুই ভাই সিরাজ ও মোকলেসসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ১০-/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় ২৩(৪)২১ নং মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা মজিবর রহমান বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সাখাওয়াত ও মনির হোসেনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ২৪(৪)২১। এ ব্যাপারে আওয়ামলিীগ নেতা মুজিবর গনমাধ্যমকে জানান, আমার বড় ভাই রিয়াজুল নয়াগাও বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদ কমিটি সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছে। মসজিদের উন্নয়ন ও কবরস্থানে গাছ কাটার জের ধরে সন্ত্রাসী সাখাওয়াতসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সাখাওয়াত, মনির, দেলোয়ারসহ অজ্ঞাত ২০/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমার ভাতিজার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক সুজন গনমাধ্যমকে জানান, মুছাপুর এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা মামলা দুইটি নিবিড় ভাবে তদন্ত করে দেখছি। সে সাথে মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। মামলা দুইটি তদন্তের স্বর্থে আসামীদের নাম ও ঠিকানা আপনাদেরকে জানাতে পারিছি না ।

আপনার মতামত জানান