প্রিম্যাচিউর শিশু জন্ম নেওয়ার ৮ লক্ষণ

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অনেকের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তান প্রসব হয়ে থাকে। এ ধরনের শিশুকে প্রিম্যাচিউর বেবি বলা হয়ে থাকে। এসব শিশুর মাঝে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নির্ধারিত সময়ের তিন সপ্তাহ আগে যদি কোনো শিশুর জন্ম হয়, সে ক্ষেত্রে প্রসবের সময় এবং তার পরে মা ও শিশুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
চিকিৎসকরা বলেন, প্রসবের নির্ধারিত সময়ের আগে যত বেশি সময় বাচ্চা গর্ভে থাকবে, বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর তার শারীরিক সমস্যা ততই কম দেখা দেবে।
কিছু লক্ষণ রয়েছে যা থেকে বোঝা যায় অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রিম্যাচিউর শিশু জন্ম দেবেন কিনা। আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে—
১. গর্ভাবস্থায় নারীদের অতিরিক্ত ওজন বা প্রয়োজনের কম ওজন থাকা।
২. গর্ভাবস্থায় অসতর্ক থাকা এবং নিজের ঠিকমতো যত্ন না নেওয়া।
৩. সন্তানের গর্ভাবস্থায় ধূমপান করা, মাদক বা অ্যালকোহল নিলেও প্রিম্যাচিউর শিশু জন্ম নিতে পারে।
৪. গর্ভে একাধিক সন্তান এলে প্রিম্যাচিউর বেবি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৫. আইভিএফের সাহায্যে অর্থাৎ টেস্ট টিউব বেবির ক্ষেত্রে সময় হওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম হতে পারে।
৬. একটি সন্তান নেওয়ার পর খুব দ্রুত আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে এমন হতে পারে।
৭. গর্ভে থাকা শিশুর মাঝে জন্মগত ত্রুটি থাকলে এমন সমস্যা হতে পারে।
৮. গর্ভবতী নারীর উচ্চরক্তচাপ, ডায়বেটিস, সংক্রমণ, রক্তজমাট বাঁধার মতো সমস্যা থেকে থাকলে প্রিম্যাচিউর বেবি হওয়ার সম্ভাবনা তাকতে পারে।
প্রিম্যাচিউর শিশু জন্ম নেওয়ার বিভিন্ন উপসর্গ-
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তান জন্ম হওয়া এড়াতে প্রথম থেকেই এর উপসর্গগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সঠিক সময়ে এই লক্ষণগুলো ধরতে পারলে চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব। যে উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে—
১. ঘন ঘন পেটে ব্যথা অনুভূত হওয়া;
২. পিঠের নিচের অংশে ব্যথা অনুভব করা। এ ক্ষেত্রে ব্যথা আসবে-যাবে বা অবিরাম ব্যথা থাকতে পারে। বসা বা শোবার পজিশন পাল্টে ফেলতে হবে। এর পরেও যদি স্বস্তি না পাওয়া যায় বা ব্যথা দূর না হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৩. পিরিয়ডের ব্যথার মতো পেটে ব্যথা হলে অথবা ডায়রিয়া হলে যেমন পেটে যন্ত্রণা অনুভূত হয়, তেমন হলেও প্রিম্যাচিউর বার্থের সম্ভাবনা থাকে।
৪. বিশেষ অঙ্গে চাপ বেড়ে যাওয়া।
সূত্রঃ যুগান্তর
আপনার মতামত জানান