প্রধান বন সংরক্ষক লুটপাটের শীর্ষ মাফিয়া
বিশেষ প্রতিনিধি :
আখেরি বাণিজ্য চালাচ্ছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী। বিভিন্ন পদে একযোগে কয়েকশ জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, প্রাইজ পোস্টিং মিলিয়ে টাকার ছড়াছড়ি চলছে বন ভবনে।
জুলাই বিপ্লবের পরে দেশের সকল লুটপাট সেক্টরে যখন স্থবিরতা নেমে এসেছে, তখনও বন অধিদপ্তরে চলছে উলটো চিত্র। প্রকল্প কর্মকাণ্ডের ভাগ বাটোয়ারা আর নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, পোস্টিং সংক্রান্ত লেনদেন ঘিরে শুরু হয়েছে হৈহৈ রৈরৈ পরিস্থিতি।
চারটি পদের বিপরীতে ৩৩৭ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেই চাকরি প্রার্থী, দালাল, সিন্ডিকেট সদস্যদের হাট বাজারে পরিণত করা হয়েছে বন ভবনকে। আবেদন, বাছাই, পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষার খবর নেই এখনও, অথচ মোটা অঙ্কের রেট বেধে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধুম চলছে সেখানে।
সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাহাবউদ্দিন ও তার পুত্র জাকির হোসেন জুমনকে নিয়ে পৃথক পৃথক সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বন অধিদপ্তরকে লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেন।
আওয়ামীলীগের তহবিলে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দিয়ে একটানা চার বছর ধরে প্রধান বন সংরক্ষকের পদটি মহা দাপটে কব্জায় রাখেন আমির হোসাইন চৌধুরী। জুলাইয়ের বিপ্লব দমনেও জোগান দেন মোটা অঙ্কের টাকা। এতকিছুর পরও অলৌকিক ক্ষমতায় বহাল তবিয়তেই আছেন তিনি। বিএনপি’র নামেও মাসিক তিন কোটি টাকা চাঁদা দিয়ে আমির হোসাইন চৌধুরী হয়ে উঠেছেন আরো বেশি দাপুটে।
আপনার মতামত জানান