প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি
ভালভাবে বলে দিতে চাই, কেউ যদি হুমকি দামকি দেয় আমাকে বলবেন, আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব। প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আমি তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেব বলে প্রকাশ্যে এমনই হুমকি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সাধারন সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী। গত সোমবার বিকেলে পিরোজপুর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সরকারের এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারন ভোটারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ভোটাররা।
জানা যায়, রফিকুল ইসলামের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ব্যাপক তোলপারের সৃষ্টি করে। একজন মেম্বারপ্রার্থীর প্রকাশ্যে এমন হুমকিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত সাধারন ও শান্তিপ্রিয় ভোটাররা। স্থানীয় ভোটাররা জানান, রফিকুল ইসলাম একজন চিহ্নিত চোরাই তেল কারবারি। ইতিপূর্বে সে চোরাই তেল বিক্রি ও সরবরাহের অপরাধে র্যাব-১১ এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলেও তারা জানান।
মৃর্ধাকান্দি গ্রামের আল-ইসলাম জানান, রফিকুল ইসলাম সরকারের এমন বক্তব্যে মনে হচ্ছে উনি প্রশাসনের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর! তাই আমরা নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে যেতে শঙ্কিত।
এ ব্যাপারে ৬নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বিন্দ্বী প্রার্থী এমএ হালিম বলেন, রফিকুল ইসলামের এমন বক্তব্য সাধারন ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনী আচরন বিরোধী ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এ ভিডিও বক্তব্যের বিষয়ে প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নিবে বলে আমি আশাবাদী।
গত সোমবার রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের কথা স্বীকার করে বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিও বক্তব্য আমারই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে আচরণবিধি লঙ্গন হলে এইডা নির্বাচনওলায় বুঝব।’
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইউসুফ-উর-রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তাঁকে প্রাথমিকভাবে শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে। নোটিশের সঠিক জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, কেউ যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপ্রিয় নির্বাচনে বাঁধা সৃষ্টি করতে চেষ্ঠা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত জানান