পুলিশ! মালিকের কাছেই বিক্রি করল জব্দ করা কারেন্ট জাল
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দের পর সেই জাল আবার মালিকের কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশের একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও অন্য সূত্রে জানা যায়, লৌহজং থানার এএসআই খলিলুর রহমান, কনস্টেবল কুদ্দুস গত সোমবার উপজেলার মালির অংক থেকে একটি আলুভর্তি ট্রাকে অভিযান চালিয়ে ৫১ বস্তা অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে। এ সময় ট্রাকচালক আল আমিন (৩৫), হেলপার দুলাল (৩৮) ও সুপারভাইজর মাসুদকে (৫২) আটক করে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও কাবিরুল ইসলাম খানের সামনে হাজির করা হয়। কিন্তু জব্দ করা ৫১ বস্তা কারেন্ট জালের পরিবর্তে দেখানো হয় ৯ বস্তা কারেন্ট জাল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক তিনজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা ও প্রত্যেককে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। আর জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাবিরুল ইসলাম খান জানান, এএসআই খলিলুর রহমান ৯ বস্তায় দুই লাখ মিটার কারেন্ট জালসহ একটি ট্রাক ও আটক তিন ব্যক্তিকে তাঁর কাছে হাজির করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হয়। তবে ৫১ বস্তা কারেন্ট জাল সম্পর্কে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে সূত্র জানায়, এএসআই খলিলুর রহমান ৫১ বস্তা কারেন্ট জাল উদ্ধার করলেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে ৯ বস্তা কারেন্ট জাল। বাকি কারেন্ট জালের বস্তাগুলো মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দেনদরবার করে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।
ঘটনার পর কারেন্ট জালের মালিক মুন্সীগঞ্জের রামপালের আনোয়ার হোসেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএমের (বার) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার ঘটনা তদন্তে শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে দায়িত্ব দেন। একই সঙ্গে এএসআই খলিলুর রহমান ও পুলিশ কনস্টেবল কুদ্দুসকে ক্লোজ করে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইনে নিযুক্ত করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, এএসআই খলিলুর রহমান ও কনস্টেবল কুদ্দুসকে ক্লোজ করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
(সুত্র-কালের কন্ঠ)
আপনার মতামত জানান