পানাম নগরীতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত

 

আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি জানান :
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সোনারগাঁয়ের পানাম নগরীতে পর্যটকদের উপছে পড়া ভির দেখা গেছে। ঐতিহাসিক এ নগরী দেখতে কয়েক প্রজন্মের দশনার্থীদের আগ্রহ দেখা গেছে।সকাল থেকে সন্ধ্যে পযন্ত পযটকরা পানামের স্থাপত্য শিল্প, কারুকাজ এবং নির্মাণশৈলী মনোযোগ দিয়ে দেখছিলেন।

ময়মনসিংহ থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা সোহরাব মিয়া জানান, বইপুস্তকে পড়েছি, একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর পানাম নগরপানাম নগর -প্রাচীন সোনারগাঁর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন রয়েছে, যা বাংলার বার ভূইয়াঁদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত। আজ তা বাস্তবে দেখলাম। সত্যিই পানাম নগরী একটি শৈল্পিক শহর।

হাসান খাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রথম আলোর সোনারগাঁ প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান জানান, বিশ্ববাসীর কাছে এটি “হারানো নগরী” হিসাবে সুপরিচিত। এখানে ১৫ শতকে ঈশা খাঁ সোনারগাঁয়ে বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন। ২০০৬ সালে ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ডের তৈরি বিশ্বের ধ্বংসপ্রায় ১০০ টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় পানাম নগর স্থান পায়। নগরীর অভ্যন্তরে আবাসিক ভবন ছাড়াও মসজিদ, গির্জা, মন্দির, মঠ, নাচঘর, চিত্রশালা, পান্থশালা, খাজাঞ্চিখানা, দরবার কক্ষ, পুরনো জাদুঘর, গোসলখানা ও গুপ্ত পথ রয়েছে। এছাড়া ৪০০ বছরের পুরনো টাকশাল বাড়ি ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তৈরি নীলকুঠি এখানে দেখতে পাওয়া যায়। এ নগরী সোনারগাঁকে বিশ্ববাসীর কাছে সোনারগাঁয়ের অতিত আভিজাত্যে প্রকাশ করছে। যা আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের।

পানাম নগরীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাঠ্য পুস্তক ও বিভিন্ন মিডিয়ায় নগরীর ইতিহাস ফলাও করে প্রচার করায় দিনদিন এর দর্শনার্থী বাড়ছে। তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে প্রায় ৩হাজার দর্শনার্থী এখানে এসেছে। তিনি জানান, নগরীর বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণশৈলীতে রয়েছে ভিন্নতার ছাপ। তৎকালীন ধনীক শ্রেনীর এই নগরীর প্রতিটি দালানে রয়েছে অপূর্ব কারুকার্য ও আভিজাত্য ছোঁয়া। নগরীর বুক চিরে চলে যাওয়া রাস্তার দুই পাশে রয়েছে প্রায় ৫২ টি ভবন। মূল রাস্তার উত্তর দিকে ৩১ টি এবং দক্ষিণ দিকে ২১ ভবন আছে। এই ভবন গুলো কোনটি এক তলা, কোনটি আবার দুই বা তিন তলা বিশিষ্ট।

 

 

 

 

আপনার মতামত জানান