পাকিস্তানীদের তালিকা কপি করতে ৬০ কোটি টাকা খরচ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের

প্রকাশিত

রাজাকারের তালিকা বলে যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছিল সেই কাজের জন্য তাদের ৬০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

কোন রকম পরিশ্রম ও যাচাই বাছাই ছাড়া ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীদের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিয়েছেন ৬০ কোটি টাকা নিয়ে ভুলে ভরা তালিকা প্রকাশ করে সরকারকে সমালোচনা ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন। তালিকা প্রকাশের পর সারা দেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারন জনতা ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করে তালিকা বাতিলের দাবী জানান। দাবীর পেক্ষিতে ৬০ কোটি টাকার তালিকা স্থগিত করে মন্ত্রণালয়।
স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তি ও ৭১’র রাজাকার বাহিনীর প্রধান গোলাম আজমের জামাতী ইসলামের যারা চিহ্নিত রাজাকার হিসেবে ট্রাইবুনালের রায়ে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন তাদের নাম নেই এ তালিকায়।

তালিকায় নানা অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এতে এমন সব ব্যক্তির নাম এসেছে, যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, লড়াই করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি শহীদ পরিবারের সদস্যদের নামও রয়েছে তালিকায়। অথচ এতে নেই চিহ্নিত অনেক রাজাকারের নাম। এসব কারণে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত রাজাকারদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে কোনো ভুলত্রুটি আছে কি না, সেটা আমরা জানি না। তালিকা প্রকাশের পর অনেকে ফোন করে বলছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামও তালিকায় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির নামের সঙ্গে অন্য কারোর নামের মিলের কারণে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকতে পারে। তারপরও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে, সেগুলো বিবেচনা করা হবে।’

উল্লেখ্য, রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আপনার মতামত জানান