পদ হারাচ্ছেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান ?
নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও সোনারগাঁ উপজেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে নিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে। তাদের মধ্যে দুইজন গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যজন ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির মনোনয়নে চেয়ারম্যান হয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান ও সদর উপজেলার আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। গত ২৭ মার্চ তাদের তিনজনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। নোটিশে স্বাক্ষর করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান।
নোটিশে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ‘বেফাঁস’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪(৪) বিধানে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে ওই নোটিশে।
এদিকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪(৪) অনুযায়ী অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে অপসারণ করার বিধান রয়েছে।
সম্প্রতি অভিযুক্ত তিন ইউপি চেয়ারম্যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে নিয়ে ‘বেফাঁস’ বক্তব্য দিয়েছেন। বারদীর চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এক ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, ‘ক্ষমতা আমাকে দিয়েছে, আমি বারদীর ম্যাজিস্ট্রেট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারদীতে আসলেও আমার হুকুম লাগবে।’
এক অনুষ্ঠানে কলাগাছিয়ার চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ‘আমি শেখ হাসিনাকে চিনি না, শেখ মুজিবুর রহমানকে চিনি না’ বলে বক্তব্য দিয়েছেন। অন্যদিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন বলেন, ‘আমি নৌকার প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে অনেক বেশি ভোটে নির্বাচিত হতাম। নৌকা নিয়ে কম ভোট পেয়েছি’। এই তিন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ।
আপনার মতামত জানান