নদী দখলের দায়ভার স্থানীয় প্রশাসনের-নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান

প্রকাশিত

 

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার আজ সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুরে চর রমজান সোনাউল্লাহ্ মৌজায় একটি দখলদার বাহিনীর নদী দখল ঠেকাতে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন,` ডিসি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডাব্লিওটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর এই চারটা দপ্তর নদী দখলের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। এর জন্য তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।’

নিজেদের বাধ্যবাদকতার ব্যাপারে তিনি জানান, আমাদের আইনে ক্ষমতা দেয় নাই। যাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাদের কাছে গিয়ে অনুরোধ করছি অনুরোধ আপনারা আপনাদের আইনটি প্রয়োগ করুন এবং তাদেরকে ধরার কোনো আইন আমার নেই। আইনে আমাকে ক্ষমতা দিয়েছে পরামর্শ দেওয়ার আমি পরামর্শ দিতে তাদের কাছে চলে এসেছি। আমার যদি আইন ও ক্ষমতা থাকতো তবে আমি আজকে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিতাম গুড়িয়ে দিতাম। আমরা জানতে পেরেছি দখল ও দূষণের সাথে স্থানীয় প্রশাসন কোনো না কোনোভাবে জড়িত আছে।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান ছিল, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’। আর সেই মেঘনা আজ ভূমি দস্যুরা দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। এটা দেখলে কার না কান্না আসে। যারা এর সাতে জড়িত তারা হৃদয়হীন লোকজন। দিয়ারা জড়িপের ব্যাপারে বলেন, কম্পনির স্বার্থে যারা দিয়ারা জড়িপ করেছে তারা যদি বেঁচে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হাইকোর্টের রায়ে আমাদের নদী, পাহাড়, সমুদ্র সৈকত, বনাঞ্চল, খাল, বিল ও জলাভূমি বাঁচাতে রাষ্ট্রকে জনগণের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান। দৃশ্যত, হাইকোর্টের সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে নদ-নদীর তত্ত্বাবধায়করা বিআইডাব্লিউটিএ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ডিওএস এর কোনো না কোনো সহযোগিতায় মেঘনা নদী দখল করছে।

অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের উপপরিচালক ড. খ. কবিরুল ইসলাম, সার্বক্ষণিক সদস্য আলাউদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম। এ সময় মুন্সিগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা হাসান সাদী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস, এম ইমাম রাজী টুলু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত জানান