নতুন দিগন্তে পুলিশ বাহিনী – ডিআইজি হাবিবুর রহমান
ডেইলি সোনারগাঁ >>
পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশ হবে বিশ্বাসী এ লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)। তিনি বলেন আইজি স্যারের নেতৃত্বে নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে পুলিশ বাহিনী। পুলিশের নামের সাথে সততা, জবাহদিহিতা, স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই স্যারের স্বপ্ন।আর সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।’
তিনি বলেন, পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগে শতভাগ, স্বচ্ছতা আর নিরপেক্ষতা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নতুন দিগন্ত উম্মোচন হয়েছে। আগামী দিনে পুলিশ বাহিনী সূচনা করবে নতুন ধারার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আইজি স্যারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে গুজব প্রতিরোধে ৬৪ হাজার গ্রাম, শহর বন্দরে আজ কাজ করছে পুলিশ।
উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী স্যারের মিশনই হচ্ছে, দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন। তিনি চান অপরাধীদের আতঙ্ক আর জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ বাহিনী। ডিআইজি হাবিবুর রহমান পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (প্রশাসন) থেকে গত ২২ মে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন ।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার পদে কাজের সুবাদেই দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সাভারে বেদে পল্লীর সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নে থেকে শুরু করে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বুটিক হাউসসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের আত্ন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেদে পল্লীর অভিশপ্ত বাল্য বিবাহ রোধেও তার ভূমিকা প্রশংসিত হয় দেশে -বিদেশে। নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত ও অবহেলিত পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্ম-সংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করেন এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উত্তরণ,তাদের পূর্নবাসন ও মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নোত করতে সাড়া জাগানো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। যে কারণে এই দুই জনগোষ্ঠির কাছে তার পরিচয় মানবতার ফেরিওয়ালা।
ডিআইজি হাবিবুর রহমান এর উদ্যোগে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। রাজারবাগে প্রতিষ্ঠিত এই যাদুঘর ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ উম্মুক্ত করে দেয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান ও ঢাকায় তাদের প্রথম প্রতিরোধ নিয়ে “মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ” নামের একটি বই-ও লিখেছেন হাবিবুর রহমান।
গোপালগঞ্জের চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্ম।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট থেকে স্নাতোকোত্তর হাবিবুর রহমান ১৭তম বিসিএস দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশে যোগদানের পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে নিজের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন। সাহস, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার জন্য তিনি তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন দু’বার।
পেশাগত ও মানবিক কাজের বাইরে সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘পুলিশকে প্রকৃত অর্থেই জনগণের বন্ধু হিসেবে গড়ে তোলা। জনগণ যাতে পুলিশের উপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারে, সেরকম বিশ্বাসী পুলিশ গড়ে তোলা।’
আপনার মতামত জানান