দেশের সর্ববৃহৎ সাংবাদিক মিলনমেলা

প্রকাশিত



মো. আব্দুল মান্নান :
ঢাকার দোহারের পদ্মাপাড়ে মৈনটঘাটে শুরু হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ সাংবাদিক মিলনমেলা। ১৮ অক্টোবর সকাল ১১টায় ওই মিলনমেলা শুরু হয়ে চলবে ১৯ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত।



দু’দিনব্যাপী এই সাংবাদিক মেলায় দেশবরেণ্য সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন। মেলায় অংশ নিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে ইতোমধ্যে অনেকে উপস্থিত হয়েছেন। আমিসহ আরও অনেকে পথে রয়েছেন। এতে প্রায় তিন শত সাংবাদিক অংশ নিবেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তাদের নাম রেজিষ্ট্রেশনসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন পল্লব জানিয়েছেন। ওখান থেকে একটি অরাজনৈতিক ও লেজুড়বৃত্তিহীন সাংবাদিক সংগঠনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানা যায়। এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে ‘প্রত্যাশা’ নামে একটি সাময়িকী। প্রত্যেককে দেওয়া হবে একটি করে উন্নত মানের নোট বুক। এছাড়াও এতে আরও বিশেষ চমক রয়েছে বলে জানান সাংবাদিক নেতা সাইদুর রহমান রিমন।



এ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব এম এ আকরাম। আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শারমিন সুলতানা মিতু জানিয়েছেন এতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি আলপনা বেগমসহ অনেক নারী সাংবাদিকরাও অংশ নিবেন এবং তাদের জন্য স্পেশাল ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল আসা সাংবাদিকদের রিসিভের দায়িত্বে রয়েছেন মো. আলা উদ্দিন। তিনি গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার এলাকায় অপেক্ষমান আছেন। দূরের সাংবাদিক বন্ধুদেরকে ওখানে রিসিভ করে ‘যমুনা ডিলাক্স প্রাঃ লিঃ’ নামে একটি বিশেষ বাসে করে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যাবেন। এ মিলনমেলা বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে অনেক কিছু জেনেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান গৌরাঙ্গ দেব নাথ অপুর ‘নবীনগরের কথা’ টকশো থেকে। তিনি অত্যন্ত চমৎকারভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন দেশের প্রথিতযশা ও বিদগ্ধ সাংবাদিকদের নিয়ে। সেই অপু দাদাও ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়েছেন। মনে হচ্ছে মিলনমেলাটি সেই রকম জমা জমবে। হবে অত্যন্ত আনন্দমুখর ও প্রাণবন্তকর।



সাংবাদিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আইকন স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমনের পরিকল্পনায় ও নেতৃত্বে নির্যাতিত, অধিকার বঞ্চিত, রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের একটি দুষ্ট চক্র দ্বারা নিষ্পেষিত প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে ওই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। কারো কারো মতে, দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশের মধ্যে এটি হবে প্রকৃত ও স্বচ্ছ সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে একটি শক্তিশালী ও সর্ববৃহৎ সাংবাদিক সংগঠন। এর নেতৃত্বে থাকবেন ত্যাগী, নির্যাতিত, পুরস্কার প্রাপ্ত, চতুর্মুখি প্রতিভার অধিকারী সাংবাদিক দরদী এক ঝাঁক প্রকৃত সাংবাদিক। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আমরা তাদের দেখতে পাব।

আপনার মতামত জানান