দাঁতে রুট ক্যানেল কতটা নিরাপদ, কখন করাবেন?
দাঁতের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। শক্ত কিছু চিবোলে ব্যথা শুরু হয়। অনেক সময় হাড়ে কামড় দিলে দাঁত ভেঙে যায়। কুরবানির ঈদে প্রায় সবাই কমবেশি মাংস খেয়ে থাকেন। টানা মাংস খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট দাঁতের ফাঁকে জমে থেকে মাড়িতে ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় প্রদাহও দেখা দেয়।
অনেকের দাঁতে ফাঁকা বেশি। আবার কারো কারো দাঁতে গর্ত। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না দিলে দিন দিন জটিলতা বাড়তে থাকে।
দাঁতে অনেক সময় ফিলিং করানো লাগে। আবার রুট ক্যানেল করলেও সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মেলে। এ সমস্যায় করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন রাজধানীর কলাবাগানের রাজ ডেন্টাল সেন্টারের ডেন্টাল সার্জন ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ।
দাঁতে গর্ত, বড় ফিলিং বা দুই দাঁতের সংযোগ পৃষ্ঠে ফিলিং, রুট ক্যানেল শেষে ক্যাপ না করা, গঠনগত দুর্বল দাঁত, নকল দাঁত ইত্যাদিতে শক্ত হাড়ের কামড় পড়লে ভেঙে যেতে পারে, ফলে সৃষ্ট অমসৃণ অংশে ঘষা লেগে জিহ্বা বা চোয়ালে ক্ষত হতে পারে, অন্যদিকে ভিতরকার মজ্জা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথাসহ নানা সমস্যার তৈরি হয়।
কী করবেন
বড় গর্ত থাকলে অবস্থা বুঝে ফিলিং বা রুট ক্যানেল করিয়ে নিতে হবে। মাড়ির দাঁতে রুট ক্যানেল চিকিৎসা শেষে ক্যাপ বা কৃত্রিম মুকুট লাগিয়ে নেওয়া জরুরি।
বড় ফিলিং বিশেষ করে সংযোগ স্থানে ফিলিং থাকলে সে দাঁত দিয়ে হাড় না খাওয়া ভালো। মাংসের হাড়প্রিয়দের চিকিৎসকের পরামর্শে দাঁত ও মাড়ির অবস্থা জেনে নেওয়া নিরাপদ।
ঈদে চিনির তৈরি বাহারি খাবারও দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। দাঁত ভেঙে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়া দাঁতে অবাঞ্ছিত দাগ, মুখে দুর্গন্ধ বা সামনের দাঁতের মাঝে ফাঁকা থাকলে একদিনের সহজ চিকিৎসায় সমাধান মেলে।
আঁকাবাঁকা দাঁতের চিকিৎসায় ব্রেস লাগানো থাকলে খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
মুখ ও শরীরকে সুস্থ রাখতে পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই, তাই অতিরিক্ত মাংস ও হাড় খাওয়া থেকে নিজেকে সংযত রাখা শ্রেয়।
সূত্রঃ যুগান্তর।
আপনার মতামত জানান